বিজন কৃষ্ণ রায়,দুর্গাপুর(নেত্রকোনা): নেত্রকোনার দুর্গাপুরের পৌর শহরকে সোমেশ্বরী নদীর কবল থেকে পৌর শহর রক্ষা বাঁধের পাশে কোন রকম নিয়মনীতি না মেনে অপরিকল্পিত ভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালি ও পাথর উত্তোলন করছে একদল ব্যবসায়ী। বালি উত্তোলনের নির্দিষ্ট নিয়মনীতি থাকলেও তা মানছেনা উত্তোলনকারীরা। দুর্গাপুর পৌর শহররক্ষা বাঁধ তেরীবাজার (পূণ্যাহবাড়ী ঘাট)এর উত্তরাংশে পশ্চিম সাধুপাড়া এলাকা পর্যন্ত শহর রক্ষা বাঁধের ডাম্পিং ব্লক আনুমানিক ৫০ভাগ ধ্বসে পড়েছে এবং তারই পাশেই বসানো হয়েছে ড্রেজার। এসব ড্রেজার ব্যবহার করার ফলে ইতিমধ্যেই ব্লক বাঁধের নিকটে আনুমানিক ৪০থেকে ৫০ফুট গভীরতার সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে পৌর শহর রক্ষা বাঁধ হুমকীর সন্মুখীন হয়ে পড়েছে। ডাম্পিং ব্লকের জায়গা থেকেই অবাধে রাত দিন উত্তোলন করা হচ্ছে বালি ও পাথর। এতে করে ব্লকের পাশেই অসংখ্য বড় ধরণের গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে সরে যাচ্ছে বালি, খসে পড়ছে ব্লক, হুমকীর মুখে রয়েছে শহররক্ষা বাঁধ। এ বছর পাহাড়ী ঢলে যদি বাঁধটি ভেঙ্গে যায় তাহলে উপজেলা পরিষদ ভবন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, দুটি কলেজসহ সাতআটটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।এরই প্রতিবাদে বাঁেধর পাড়ের তেরীবাজার এলাকার বাসিন্দাগন,ব্যাবসায়ী, রাজনৈতিক সামাজিক ও সুশীল সমাজের ব্যাক্তিবর্গের অংশগ্রহনে সকাল ১১ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত এক ঘন্টা ব্যাপী এক বিশাল মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয় সোমবার। মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন-পৌর মেয়র শম জয়নাল আবেদীন ,প্রেসক্লাব সভাপতি মোহন মিয়া, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ আঃ রাজ্জাক,ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ মশিউজ্জামান বাদল,ড্ঃা প্রভাত সাহা,ব্যবসায়ী মোঃফারুক মড়ল,মিন্টু মীর,নিতাই সাহা,মাসুদ মিয়া,প্রমুখ।বক্তারা বলেন,অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের কারনে সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত শহর রক্ষা বাঁধটি আজ হুমকীর মুখে পড়েছে। আমরা কিছ’ বললেও কেউ শুনছেনা তারা তাদের কাজ করেই যাচ্ছেন। এ ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য ছবি বিশ্বাস এর মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।