সকল মেনু

ভোজ্য তেল ও ডাল উৎপাদনে বড় পরিকল্পনা

Oil_bg_436618991ডেস্ক রিপোট : জাতীয় পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ভোজ্য তেল ও ডাল উৎপাদনে বড় ধরনের পরিকল্পনা করছে কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ‘ভোজ্য তেল ও ডাল বীজ উৎপাদনের মাধ্যমে টেকসই পুষ্টি নিরাপত্তা জোরদারকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় কৃষক পর্যায়ে ১০ ভাগ ডাল বীজ এবং ১০ দশমিক ৮ ভাগ ভোজ্য তেল বীজ সরবরাহ করা হবে।

বিএডিসি সূত্রে জানা গেছে, বড় এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে সাত ধরনের উন্নত মানের ডাল শস্য ও পাঁচ ধরনের ভোজ্য তেল শস্য উৎপাদন করা হবে। ডাল শস্যগুলো হলো- মুগ, মশুর, ছোলা, খেসারি, মাশকলাই, মটর ও স্যালোন। আর তেল শস্যগুলো হলো- বাদাম, সয়াবিন, সরিষা, তিল ও সূর্যমূখী।

চাষী পর্যায়ে চার বছরে ১৬ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন ভোজ্য তেল ও ডাল বীজ উৎপাদন এবং বিতরণের মাধ্যমে এই প্রকল্প দেশের ৪৬টি জেলার ১৩৩টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হবে বলে জানাচ্ছেন বিএডিসি কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, প্রকল্পের মাধ্যমে ভোজ্য তেল ও ডাল বীজের উৎপাদনের পাশাপাশি সংরক্ষণ ব্যবস্থাও জোরদার করা হবে।

এই বিষয়ে আলাপকালে বিএডিসি’র সচিব দেলওয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, দেশে ব্যাপক হারে ভোজ্য তেল ও ডালের ঘাটতি রয়েছে, এখনও বাইরে থেকে প্রচুর পরিমাণ ভোজ্য তেল ও ডাল আমদানি করা হয়। ভোজ্য তেল ও ডাল আমদানি কমিয়ে ‍আনার লক্ষ্যেই প্রকল্পটি ৪৬টি জেলার ১৩৩টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হবে। এতে প্রায় ২০৭ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।  ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের জুন মাস মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।

তিনি বলেন, ভোজ্য তেল ও ডাল বীজের ওপর ২২৫ জন কর্মকর্তা ও চার হাজার ৮০০ জন চুক্তিবদ্ধ কৃষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যেন প্রকল্প এলাকায় ভোজ্য তেল ও ডাল বীজ উৎপাদনে সক্ষমতা অর্জনের কার্যক্রম ব্যাহত না হয়। স্থানীয় আবহাওয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিদেশি উন্নতমানের ভোজ্য তেল ও ডাল বীজ উৎপাদন করার জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কলা-কৌশলীদেরও দায়িত্ব দেওয়া হবে।

বিএডিসি সূত্র জানায়, প্রকল্প বাস্তবায়নে ডাল ও তেল বীজের সংরক্ষণ করার লক্ষ্যে তিনটি রোটাভিটার, তিনটি লেভেলার, তিনটি ডিস্ক হ্যারো, ৫০টি পাওয়ার স্প্রেয়ার, ২০টি শ্যালো টিউব অয়েল, তিনটি ফোর্ক লিফট, তিনটি ক্লিনার কাম গ্রেডার, দুটি ফ্লো ডায়ার, পাঁচটি অটোমেটিক ওজন যন্ত্র, ৫০টি ফিউমিগেশন সিট ও ৪২৫টি তারপুলিনসহ প্রয়োজনীয় কৃষিজ যন্ত্রপাতি কেনা হবে। কেনা হবে সাড়ে তিন লাখ চটের বস্তা, পাঁচটি জার্মিনেটর, দু‘টি কালার সর্টার, ৮টি ময়েশ্চার মিটার ও ১০টি পোর্টেবল ময়েশ্চার মিটার।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top