বেলাব(নরসিংদী) প্রতিনিধি: বেলাব উপজেলার মেধাবী কলেজ ছাত্রী সৈয়দা রিমবি আক্তার দিবা(১৮)কে একতরফা ভালবাসার কথা প্রকাশ করতে না পারার কারনে কুপিয়ে হত্যা করে বখাটে আখের রস বিক্রেতা খুনি আল-আমিন। পুলিশ ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাজনাব গ্রামের কাজিরটেকের মিয়ার হোসেনের ছেলে আল-আমিন একতরফা ভাবে ভালবাসতো একই গ্রামের সৈয়দ পাঁড়ার শামসুজ্জামান রোকনের কনিষ্ট কন্যা কলেজ ছাত্রী সৈয়দা রিমবি আক্তার দিবাকে। বখাটে আল-আমিন দিবাকে তার ভালবাসার কথা কোনদিনই জানায়নি। কিন্তু দিবা ফোনে বা বাস্তবে কারো সাথে কথা বলাকে পছন্দ করতো না বখাটে আল-আমিন। সম্প্রতি দিবা পাঁচকান্দি ডিগ্রি কলেজ থেকে জি,পি,এ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়ে টাংঙ্গাইলের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নেয়। দিবা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলে দিবাকে পাওয়া বখাটে আল আমিনের পক্ষে সম্ভব হবেনা জেনে গত ৭ মে বৃহস্পতিবার বিকাল ৬ টায় দিবার বাড়ির কাছে রাস্তার পাশেই দিবাকে কুপিয়ে খুন করে বলে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে বখাটে আল আমিন। এদিকে দিবার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। প্রিয় কন্যাকে হারিয়ে বার বার মূর্চা যাচ্ছিলেন দিবার মা ফরিদা আক্তার ও দিবার বাবা শামসুজ্জামানের রোকন। এলাকাবাসি ও উপজেলার বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা দিবার খুনির ফাঁসি দাবি করেছেন। খুনি আল আমিনকে গ্রেফতার করেছে বেলাব থানার পুলিশ। এ রিপোর্ট লেখার সময় বেলাব থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল।
নিহতের বাবা সৈয়দ শামসুজ্জামান জানায়, তার মেয়ে খুবই শান্ত শিষ্ট ও মেধাবী ছিল। সে এস,এস,সি ও এইচ ,এস,সি উভয় পরীায় গোল্ডেন জি পি -এ ৫ পেয়েছিল এবং এবার ভার্সিটিতে ভর্তির জন্য টাংগাইলে ইউ,সি,সি তে কোচিং করছিল। নিহতের মা ফরিদা বেগম উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে পেয়ে তার মেয়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী আল আমিনের শাস্তি দাবী করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। আশেপাশের লোকজন জানায় ,বখাটে আল আমিন দীর্ঘদিন যাবৎ দিবাকে অনুসরন করলেও তার ভালবাসার কথা কখনো দিবার কাছে প্রকাশ করেনি।তবে দিবা কারো সাখে কথা বলুক এটা সে সহ্য করতে পারতনা । কিন্তু আল আমিন এভাবে যে দিবাকে খুন করবে তা তারা কখনো ভাবতে পারেনি। এদিকে বেলাব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বদরুল আলম খান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মামলা হওয়ার পর তদন্ত স্বাপেে ঘটনার সাথে যারাই জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধেই যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। বেলাব থানার ওসি(তদন্ত) আবু তাহের দেওয়ান জানান, ঘটনার দিন দিবা পাশ্ববর্তী দিপু নামে এক ছেলের সাথে কথা বলায় আল-আমিন আরো উত্তেজিত হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে হাতে থাকা দা দিয়ে দিবার মাথায় এলাপাথারী কুপিয়ে আহত করে। পরে আহত দিবাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়। আসামীর স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।