ইয়াছিন রানা সোহেল, রাঙামাটি: শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে মুক্তিযোদ্ধার জীবনীগ্রন্থ উপহার দিয়েছেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোঃ সামসুল আরেফিন। বুধবার শহীদ আবদুল আলী একাডেমী স্কুলের হলরুমে সাংবাদিক ইয়াছিন রানা সোহেল প্রনীত মুক্তিযুদ্ধকালীন রাঙামাটির মহকুমা প্রশাসক এম আবদুল আলীর জীবনীগ্রন্থ স্কুলের প্রায় হাজার ছাত্র-ছাত্রীর হাতে তুলে দিয়ে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ নজরুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, স্কুলের সহ-সভাপতি ছাওয়াল উদ্দিন, বইয়ের লেখক ইয়াছিন রানা সোহেল। এসময় উপস্থিত ছিলেন স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ মুসলিম উদ্দিন, স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য মোঃ নাছির উদ্দিন। পরিচালনা করেন স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক প্রফুল্ল কুমার রুদ্র।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোঃ সামসুল্ আরেফিন বলেন, শিক্ষার্থীরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করা গেলে আগামীতে দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে। আর দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সুনাগরিক গড়ে উঠলে এদেশ একদিন বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। তিনি সাংবাদিক ইয়াছিন রানা সোহেলের প্রনীত বইয়ের ভুয়ষী প্রশংসা করে বলেন, এ ধরনের উদ্যোগের ফলে নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এই বই পড়ে তোমাদের কাছ থেকে পরীক্ষা নেয়া হবে। আর তাতে যারা বিজয়ী হবে তাদেরকে জেলাপ্রশাসনের পক্ষ থেকে পুরস্কার দেয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন।
পরে জেলা প্রশাসকের সৌজন্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের হাতে মুক্তিযোদ্ধার বই তুলে দেয়া হয়। আর জেলাপ্রশাসকের হাত থেকে বই উপহার পেয়ে দারুন খুশি শিক্ষার্থীরা। আর তাইতো মুর্হুমুহু করতালিতে প্রানবন্ত করে তুলে পুরো আয়োজন।
উল্লেখ্য গত ২৭এপ্রিল শহীদ আবদুল আলীর ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকীতে এই বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছিল।
মুক্তিযুদ্ধকালীন রাঙামাটির মহকুমা প্রশাসক ছিলেন এম আবদুল আলী। ১৬এপ্রিল মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র সরবরাহ করতে গিয়ে পাকিস্কানিদের হাতে ধরা পড়েছিলেন তিনি। পরে ১২দিন নির্মম নির্যাতনের পর ২৭এপ্রিল তাকে টুকরো টুকরো করে লাশ কাপ্তাই লেকে বস্তাবন্দি করে ফেলে দেয়া হয়েছিল।