সকল মেনু

ওজন কমাবেন যেভাবে

ojon-120150430125632লাইফস্টাইল ডেস্ক : ওজন কমানোর কোনো জাদুমন্ত্র নেই। তাই ওজন কমাতে চাইলে খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ আর নিয়মিত শরীরচর্চা দুটোই দরকার। স্বাভাবিকভাবে একজন পূর্ণবয়স্ক পুরুষের প্রতিদিন গড়ে ১৪০০-১৬০০ ক্যালরি প্রয়োজন। আর একজন পূর্ণবয়স্ক নারীর প্রতিদিন গড়ে ১০০০-১২০০ ক্যালরি প্রয়োজন। এর বেশি হলেই তা বাড়তি ওজন হিসেবে জমা হবে।

খাদ্যাভ্যাসে উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবারের পরিবর্তে কম ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। তেলে ভাজা খাবার চকলেট, আইসক্রিম, বার্গার বা স্যান্ডউইচ, বিরিয়ানি, মোগলাই পরোটা, পিৎজা, ফ্রায়েড চিকেন কিংবা রোস্ট, চিপস, খিচুড়ি, ভাত, লুচি, পরোটা, পনির, রুটিসহ তেল-মসলার খাবার খেলে ওজন বাড়বে। অন্যদিকে হাতে তৈরি রুটি, পাউরুটি, কম তেলের সবজি অল্প তেলে রান্না নুডলস, রান্না করা সবজি কম তেল-মসলায় রান্না করা মাংস খেতে পারেন অল্প পরিমাণে- এগুলো ওজন বাড়াবে না।
ভুনা ও চর্বিযুক্ত মাংসও থাই স্যুপ বা ক্রিম স্যুপে ওজন বাড়ানোর হারকে ত্বরান্বিত করে। খেতে পারেন তন্দুরি বা গ্রিলড খাবার- এসবে ওজন বাড়ে না। ডিম খেতে চাইলে সেদ্ধ খান। ভাজি, অমলেট কিংবা পোচ করে নয়। কেউ যদি স্বাস্থ্য সচেতনতার দোহাই দিয়ে ভাত কিংবা শর্করা খাওয়া একেবারেই বন্ধ করে দেন, সেটি যেমন খারাপ আবার অতিরিক্ত শর্করা কিংবা ভাত খেয়ে ফেলাটাও শরীর জন্য ক্ষতিকর। তাই এখন থেকে ভাত দিয়ে তরকারি নয় বরং তরকারি দিয়েই ভাত খান।
খাবারের শেষে যাদের কোমলপানীয় পানের অভ্যাস, তাঁরা ডায়েট পানীয়তে অভ্যস্ত হোন। মিষ্টি ফলও কিন্তু ওজন বাড়ায়। সবচেয়ে ভালো হয় ফলের রসে তৃষ্ণা মেটাতে পারলে, তবে ফল টক হওয়াই বাঞ্ছনীয়।

শুধু খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিয়ে আর সুষম খাবার গ্রহণ করে ওজন কমানো সম্ভব নয়, শরীরচর্চাও দরকারী। ওজন হ্রাস করতে হলে প্রতিদিন প্রয়োজনের তুলনায় কম ক্যালরি গ্রহণ বা ব্যায়ামের মাধ্যমে বেশি ক্ষয় অথবা দুটিই করতে হবে। ১০০ ক্যালরি শক্তির জন্য নিদেনপক্ষে ২০ মিনিট দ্রুত (ঘাম ঝরিয়ে) হাঁটতে হবে। ওজন কমাতে হাঁটুন, সাঁতার কাটুন বা অন্য কোনো ব্যায়াম করুন। কারন কোনো ধরনের শরীরচর্চা ছাড়া ওজন কমানো যাবে না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top