সকল মেনু

ঠাকুরগাঁওয়ে ইমদাদুল হক মিলন সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে সমনজারী

 Lawsm_424747650ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: সাংবাদিকের দায়ের করা মামলায় কালের কন্ঠের সম্পাদক, প্রকাশক সহ ৬ জনের নামে সমনজারী করেছে ঠাকুরগাঁও আদালত। ঠাকুরগাঁও যুগ্ম জেলা জজ-০১ এর বিচারক তারিকুল ইসলাম্ এ আদেশ দেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ জানুয়ারি কালের কন্ঠের নিজস্ব প্রতিবেদক আলী আহসান হাবিবকে ৮ম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ডের প্রনীত আইন, প্রেস কাউন্সিল আইন, শ্রম আইন ২০০৬ এবং সংশোধিত ২০১৩ ও সাংবাদিকতা চাকুরি বিধিমালা ১৯৭৩/৭৪ এর আইন লংঘন করে কালের কন্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন অব্যাহতির চিঠি প্রদান করেন। উক্ত চিঠির প্রেক্ষিতে সাংবাদিক হাবিব কালের কন্ঠ সম্পাদকের কাছে অব্যাহতির কারন জানতে চেয়ে ৮ম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড ঘোষিত ১জুলাই ২০১২ তারিখ থেকে ১৫ মাসের মহার্ঘ ভাতা, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ তারিখ থেকে তাকে ৮ম ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ি কেন বেতন ভাতা দেয়া হয়নি, ৮ম ওয়েজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে মর্মে সরকারকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সরকারি সুবিধা আদায় ও অবৈধ অব্যাহতিপত্র প্রত্যাহার করার জন্য গত ৮ ফেব্রুয়ারি চিঠি প্রদান করেন। কালের কন্ঠের সম্পাদক সে চিঠির কোন জবাব এমনকি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। দেশের প্রচলিত আইন অমান্য করে এমন অবৈধ অব্যাহতি দেয়া সম্পূর্নভাবে মানবাধিকার লংঘন এবং এর প্রতিকার চেয়ে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বরাবরে ও তথ্য মন্ত্রনালয়ে অভিযোগ দায়ের করেন সাংবাদিক হাবিব। বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব গত ১৩ ফেব্রুয়ারি তারিখে অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাংবাদিকের ন্যায্য পাওনা বুঝিয়ে দেয়া সহ সংবাদ কর্মী বিধি আইন মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে একটি অফিসিয়াল চিঠি প্রদান করলেও কালের কন্ঠ কর্তৃপক্ষ এসব আইন কানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেননি।
অত:পর গত ৩০ মার্চ সাংবাদিক আলী আহসান হাবিব বাদী হয়ে কালের কন্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরী, উপদেষ্টা সম্পাদক অমিত হাবিব, বার্তা সম্পাদক চৌধুরী আফতাবুল ইসলাম, ন্যাশনাল ডেস্ক শিফট ইনচার্জ খায়রুল বাশার শামীম ও ভারপ্রাপ্ত মফস্বল সম্পাদক মো: রুবেলকে বিবাদী করে একটি মামলা দায়ের করে।
আজ ২২ এপ্রিল মামলার শুনানী শেষে ঠাকুরগাঁও যুগ্ম জেলা জজ-০১ এর বিচারক তারিকুল ইসলাম্ বিবাদীদের বিরুদ্ধে সমন জারী করেন।
বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সিনিয়র এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও বার কাউন্সিলের সাধারন সম্পাদক আ: রহিম, এন্তাজুল হক, জাকির হোসেন, জয়নাল আবেদীন ও ইব্রাহিম আলী।
এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বলেন, মামলার বাদীকে সম্পূর্ন বে-আইনীভাবে অব্যাহতি পত্র প্রদান করা হয়েছে। বাংলাদেশে শ্রম আইন, প্রেস কাউন্সিল আইন, সংবাদপত্র চাকুরি বিধিমালা লংঘন করে আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন মামলার বিবাদীগন। এমনকি দেশে প্রকাশিত সকল সংবাদপত্রের জন্য অবশ্য পালনীয় ৮ম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড কর্তৃক প্রনীত এবং তথ্য মন্ত্রনালয়ের প্রজ্ঞাপন দ্বারা আইন কালের কন্ঠ অমান্য করেছে। এমন আইন অমান্যকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান না করা হলে দেশে কোন অবস্থাতেই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে না। তাছাড়া সংবাদপত্রের সম্পাদক বা ওই প্রকাশনা শিল্পের সাথে জড়িত কেউ আইনের উর্দ্ধে নয়। যেহেতু সবরকম বিধিমালা ভঙ্গ করে সাংবাদিক হাবিবকে একটি চার লাইনের অব্যাহতি প্রত্র প্রদান করা হয়েছে, এতে একদিকে সাংবাদিক হাবিবের প্রতি মানবাধিকার লংঘন করা হয়েছে, তার সম্মানে আঘাত করা হয়েছে, তাকে মহার্ঘভাতা এবং ৮ম সংবাদপত্র ওয়েজ আইনের ৩য় গ্রেড অনুযায়ি বেতন ও অন্যান্য ভাতা প্রদান না করা চরম অপরাধ করেছে কালের কন্ঠ কর্তৃপক্ষ। তাই এমন অবৈধ অব্যাহতি পত্র বাতিল ঘোষনা সহ আত্মসাতের উদ্দেশ্যে যে সকল পাওনা পরিশোধ করা হয়নি তা অবশ্যই প্রদান করতে হবে। আশা করা যায়, এই মামলার মাধ্যমে প্রমানিত হবে, আইনের উর্দ্ধে কেউ নয় এবং আইন অমান্য করলে অবশ্যই আইন অমান্যকারীকে শাস্তি পেতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top