সকল মেনু

রংপুরে এক যুবকের ফাঁসি; দুজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

unnamed রংপুর ব্যুরো: রংপুরে স্কুল ছাত্রীকে এসিড মারার অপরাধে এক যুবকের ফাঁসি এবং দুজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়ে আদালত। বুধবার রংপুরের জেলা ও দায়রা জজ মঞ্জুরুল বাছিদ এ রায় দেন। পিপি আবদুল মালেক জানান, রংপুর নগরীর দক্ষিন বাবুখাঁ এলাকার মহুবুল ইসলাম ও সুলেখা পারভীনের মেয়ে মাসুদা আক্তার মনি। বাবা মারা যাওয়ার পর অনেক কষ্টে মা মনিকে লেখাপড়া করাছিলেন। রংপুর সমাজকল্যান বিদ্যাবিথি মহাবিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগের নবম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল মনি। দেখতে সুন্দরী হওয়ায় স্কুলে যাওয়া আসার পথে বখাটে আরিফুল ইসলাম, আলাল, দুলাল ও তাদের সহযোগিরা প্রেম নিবেদন করে ব্যর্থ হয়। এতে বখাটেরা ক্ষিপ্ত হয়ে ২০১২ সালের ১৩ আগস্ট রাতে নগরীর দক্ষিণ বাবুখাঁ এলাকার মাসুদা আক্তার মনি প্রকৃতির ডাকে ঘরের বাইরে বের হয়ে এলে বখাটেরা মনিষার মুখে এসিড নিক্ষেপ করে। এতে তার মুখমন্ডলসহ শরীরের বিভিন্নস্থান ঝলসে যায়। মনিষার চিৎকারে তার মা ও এলাকাবাসি ছুটে আসার আগেই বখাটেরা পালিয়ে যায়। দ্রুত তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এরপর তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্র্যাকের সহযোগিতায় তাকে ঢাকায় এসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশনে ভর্তি করা হয়। এসিডে মাসুদা আক্তারের দুটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। এব্যাপারে মাসুদা আক্তার মনির মা সুলেখা পারভীন ঘটনার পরদিন বাদি হয়ে বখাটেদের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলার পর গতকাল বুধবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ রায় দেন। রায়ে নগরীর দক্ষিন বাবুখাঁ এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে আরিফুল ইসলাম(২২) কে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যার আদেশ দেওয়া হয়। এছাড়া তার সহযোগি আলাল মিয়া ও দুলাল মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করা হয়। সেই সাথে বিচারক দন্ডপ্রাপ্ত ওই তিন জনের সম্পত্তি বিক্রি করে ৩ লাখ টাকা মাসুদা আক্তার মনিকে দেওয়ার আদেশ দেন বলে জানান পিপি আবদুল মালেক। আসামী পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন, রইচ উদ্দিন বাদশা প্রমুখ। রায়ের ব্যাপারে মা সুলেখা পারভীন ও মেয়ে মাসুদা আক্তার মনি আদালত পাড়ায় সাংবাদিকদের জানান, এ রায়ে তারা খুশি হয়েছেন। তবে তারা রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন। সেই সাথে তারা অভিযোগ করেন দন্ডপ্রাপ্তদের লোকজন তাদের নানাভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। রায়কে ঘিরে সকাল থেকে আদালত পাড়ায় নগরীর বাবুখাঁ এলাকার আসামী ও বাদি পক্ষের এবং নগরীর লোকজন ভীড় করতে থাকেন। কি রায় হয় তা শুনতে। এছাড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয় আদালত পাড়ায়। যাতে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। আদালত পাড়ায় ছিল বিপুল সংখ্যক পুলিশ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top