সকল মেনু

কুড়িগ্রামে এলজিইডি কল্যাণ প্রকল্পে ষ্টবেরি ফলের চাষ

 unnamedডাঃ জি এম ক্যাপ্টেন, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রাম রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের ছিনাই বাজারের মহা সড়কের পাশেই এলজিইডি কল্যাণ প্রকল্পে প্রায় ৪০ শতক জমিতে ষ্টবেরি ফলের চাষ করেছে- এলজিইডি কর্তৃপক্ষ। ৪০ শতক জমিতে ষ্টবেরি চাষ করে নেট জাল দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। যাতে করে পাখি ফলের ক্ষতি করতে না পারে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এলজিইডি কর্তৃপক্ষ ষ্টবেরি ফলের চাষ করার আগে বগুড়া থেকে ২জন ষ্টবেরি চাষের দক্ষ কৃষককে মাসিক বেতনে নিয়োগ দেয়। কৃষকদের মধ্যে রফিকুল এই প্রতিবেদককে জানান, ষ্টবেরি ফলের চারা লাগানোর ৭০-৭৫ দিনের মধ্যে গাছে ফল আসবে এবং আমরা এই ৪০ শতক জমিতেই ৪ দিন পর পর ৫০-৬০ থেকে কেজি করে ফল তুলছি। আর এ ফলগুলো কুড়িগ্রাম সহ অন্যান্য জেলার ব্যবসায়ীরা এখান থেকে ফল নিয়ে যাচ্ছে। প্রতি কেজি ১৫০-২০০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া স্থানীয় ভাবেও এর বিক্রি সন্তোষজনক। এখানে প্রতিদিনই স্থানীয় ক্রেতাদের পাশাপাশি দর্শনার্থীরাও ভির করছে। এই ৪০ শতক জমি থেকে আমরা আগামীতে ১লক্ষ চারা বিক্রি করতে পারবো। প্রতিটি চারার মূল্য হবে ২০-২৫ টাকা। আমাদের এই ৪০ শতক জমিতে প্রায় ১ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। বিক্রিও প্রায় লক্ষাধিক টাকা ছেড়ে গেছে। আমরা চাই স্থানীয় কৃষকরা এসব দেখে তারাও এই ষ্টবেরি ফলের চাষ বাণিজ্যিক ভাবে শুরু করুক। এটা আসলেই একটি লাভজনক ফলের চাষ।
এ বিষয়ে এলজিইডির রাজারহাট শাখার ইঞ্জিনিয়ার জহুরুল হক বলেন, আমাদের এই এলজিইডি প্রকল্পে প্রায় ৪০ শতক জমিতে পরীক্ষামূলক ভাবে ষ্টবেরি চাষ করেছি। এটা আসলেই লাভজনক, আগামীতে আমরা জমির পরিমাণ বৃদ্ধি করবো বলে আশা করছি।
এ ব্যাপারে রাজারহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শষ্টী চন্দ্র রায় জানান, কুড়িগ্রামে এই প্রথম রাজারহাট উপজেলার ছিনাইয়ে শখের বসে ষ্টবেরির চাষ করা হয়েছে। ষ্টবেরি আসলে সৌখিন মানুষ ছাড়া চাষ করতে পারে না। কারন ষ্টবেরি চাষে খরচ অনেক বেশি। তবে আমরা আশা করছি আগামীতে আরো অনেক কৃষক ষ্টবেরি চাষ করবেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top