শাহ মোহাম্মদ মাকসুদুল আলম, চাঁদপুর: সর্বত্র চলছে বাংলা বর্ষ বরণের আয়োজন। পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ খাওয়া বাঙ্গালির শত বছরের চিরায়ত ঐতিহ্য । অথচ ইলিশের রাজধানী হিসেবে খ্যাত পদ্মা-মেঘনা পাড়ের জেলা চাঁদপুর এখন অনেকটা ইলিশ শূণ্য । জাটকা রক্ষা কার্যক্রমের কারণে নদীতে ইলিশ ধরার উপর সরকারি নিষেধজ্ঞা রয়েছে । যার কারণে মিলছে না ইলিশ। সেই সাথে এ জেলার হিমগারগুলোতেও নেই পর্যাপ্ত ইলিশ। ইলিশ সংকটে পহেলা বৈশাখের আগেই ইলিশের দাম বেড়ে গেছে কয়েক গুণ ।
মৎস্য আইন অনুয়ায়ি মার্চ -এপ্রিল এই দুই মাস দেশের ১৯টি জেলার সাড়ে ৭ হাজার বর্গ কিলোমিটার নদীতে মাছ ধরা নিষেধ । সেই সাথে এই সময়ে ইলিশ মাছ ক্রয়-বিক্রয় এবং মজুদও নিষিদ্ধ । তারপরও দেশের বিভিন্ন স্থানে ইলিশ ধরা ও বিক্রি চলছে । বৈশাখে উপলক্ষ্যে ব্যাপক চাহিদা থাকার পরও সুস্বাদু রূপালী ইলিশ বিক্রি করতে না পেরে হতাশ চাঁদপুর জেলার ব্যবসায়ীরা ।
বিভিন্ন নদ নদী ও সাগরের ইলিশের চাইতে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার ইলিশ অনেক সুস্বাদু। যার কারণে এ জেলার মাছের খ্যাতি সর্বত্র । বৈশাখের আগে বাড়তি দামে বিক্রির আশায় ব্যবসায়ীরা প্রতি বছর অক্টোবর-নভেম্বরের ভর মৌসুমে হিমাগারগুলোতে মজুদ করতো শত শত টন ইলিশ । গেল বছর ব্যাবসায় লোকসান হওয়া এ বছর হিমাগারগুলোতেও তেমন একটা ইলিশ মজুদ হয়নি । যার কারণে হিমাগারের ইলিশের দামও এ বছর বেশি বলে জানালেন ইলিশ ব্যবসায়ী আলহাজ মালেক খন্দকার।
অন্যদিকে দেশের বাজারে ইলিশের ব্যাপক চাহিদা থাকায় মিয়ানমার থেকেও বৈধ -অবৈধভাবে আনা হয়েছে হিমায়িত ইলিশ । চাঁদপুরের ইলিশ বলে বিক্রিও হচ্ছে বেশ । এতে পকৃত ইলিশের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ জানালেন চাঁদপুর সি ফুড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ইলিশ রপাতানিকারক সায়িদুর রহমান চৌধুরী।
বর্তমানে ৬শ থেকে ৮শ গ্রাম ওজনের হিমায়িত ইলিশ ১ হাজার ৫শ’ থেকে ১ হাজার ৬শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে । আর নদীর তাজা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫ শ থেকে ৩ হাজার টাকা কেজি দরে । যা দিন দিনই বাড়ছে। অন্যদিকে পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে জাটকার কদরও বেড়েছে। আড়াইশ’ টাকা কেজি দরে নদীপাড়ের আড়ৎগুলোতে এবং বাড়ি বাড়ি ফেরি করে জাটকা বিক্রি হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।