সকল মেনু

ভূমিহীন পরিবারকে পূর্নবাসনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

  indexসাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় এক প্রভাবশালী ব্যক্তির নেতৃত্বে কালিগঞ্জ উপজেলার চিংড়ীখালী ও বৈরাগীর চকে বসবাসকারি শতাধিক ভূমিহীন পরিবারের উপর হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি ভাংচুর করে তাদেরকে উচ্ছেদ করার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা পেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন ভূমিহীন নেতা আশরাফ আলী মীর। সংবাদ সম্মেলনে এক লিখিত বক্তব্যে আশরাফ মীর বলেন, জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা ইউনিয়নের চিংড়ীখালী ও বৈরাগীর চকে শতাধিক ভূমিহীন পরিবার ঘরবাড়ি বেধে প্রায় ১০/১১ বছর যাবৎ বসবাস করে আসছে। কিন্ত গত ২ মার্চ নলতা ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন সম্পাদক আবুল হোসেনের হুকুমে তার ভাই ইন্দ্রনগর গ্রামের বোমা করিম, ভাইপো মনিরুল পাড় ও চাচাত ভাই রেজাউল পাড়ের নেতৃত্বে  ৭০/৮০ জন ভাড়াটে লোকজন ভূমিহীন পল্লী চিংড়ীখালী ও বৈরাগীর চকে হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা সেখানে বসবাসকারি ১০০ ভূমিহীন পরিবারের ঘরবাড়ি ভাংচুর ও সমুদয় মালামাল লুটপাট করে তাদেরকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়। ভূমিহীনরা তাদের ভিটায় ফিরে যেতে চাইলে সন্ত্রাসীরা তাদের উপর ফের হামলা চালাচ্ছে। এমতাবস্থায় উচ্ছেদের শিকার ভূমিহীনরা তাদের স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে। তিনি বলেন, ২০০৪ সালে তার নেতৃত্বে ওই ১০০ পরিবার ভূমিহীনদেরকে চিংড়ীখালী ও বৈরাগীর চকে বসানো হয়েছিল। ২০০৫ সালে আবুল হোসেনরে নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা ভূমিহীনদের উচ্ছেদের চেষ্টাকালে সাফিরন নামের এক ভূমিহীন মহিলা বোমার আঘাতে নিহত হয়। ২০০৭ সালে আবুল হোসেনরে নেতৃত্বে আবারও উক্ত ভূমিহীন পল্লী দখল নিতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে কবির সানা নামের এক ভূমিহীন নিহত হয়।  এদু’টি হত্যা মামলা বর্তমানে বিচারাধীন আছে। তারপরও আবুল হোসেন এখনও ভূমিহীনদের উচ্ছেদ করে জমি দখলের পায়তারা করছে।তিনি অভিযোগ করে বলেন, আইডি কার্ড ও ভোটার তালিকায় নাম থাকা স্বত্বেও জামায়াত থেকে আ’লীগে যোগদানকারী  আবুল হোসেন চিংড়ীখালী ও বৈরাগীর চকের ১০০ ভূমিহীন পরিবারকে উচ্ছেদ করে মোটা অংকের টাকা নিয়ে সেখানে নতুন লোক বসানোর পায়তারা করছে। তিনি আইডি কার্ড ও ভোটার তালিকা অনুযায়ী উচ্ছেদকৃত ভূমিহীনদের ফের চিংড়ীখালী ও বৈরাগীর চকে পূর্নবাসনের দাবি জানান। তারা যাতে সেখানে শান্তিপূর্ন বাবে বসবাস করতে পারে তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের পাশাপাশি উচ্ছেদের সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।এ ব্যাপারে আবুল হোসেন জানান, আমার বিরুদ্ধে জমি দখলের যে অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যে ও বানোয়াট। এ ঘটনার সাথে আমার কোন ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top