সকল মেনু

যক্ষ্মা হলে রক্ষা নাই-এর দিন শেষ

   natab-1427551073নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট : ‘যক্ষ্মা হলে রক্ষা নাই’-এর দিন শেষ হয়ে গেছে। এখন যক্ষ্মা সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য। তবে এজন্য নিয়মিতভাবে ওষুধ সেবন করতে হবে। যক্ষ্মামুক্ত হওয়ার আগে কিছুতেই ওষুধ ছাড়া যাবে না।

সিলেট নগরীর একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বাংলাদেশ যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি, (নাটাব) সিলেট আয়োজিত যক্ষ্মা প্রতিরোধে বিভাগীয় মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

বক্তারা বলেন, যক্ষ্মা বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে। একনাগাড়ে ৩ সপ্তাহ নয়, দুই সপ্তাহ ধরে যদি কাশি হয়, তবে কফ পরীক্ষা করাতে হবে।

নাটাব, সিলেটের সভাপতি ইকবাল আহমদ চৌধুরী সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অমরেন্দ্র রায় প্রদীপের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (অব.) ডা. মামুন পারভেজ।

ডা. মামুন পারভেজ বলেন, যক্ষ্মা ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে যদি নিয়মিতভাবে ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ সেবন করা হয়, তবে যক্ষ্মা রোগী ভালো হয়ে যাবেন। কিন্তু নিয়মিতভাবে যদি ওষুধ গ্রহণ না করেন, তবে মাল্টি ড্রাগ রেসিসটেন্স (এমডিআর) যক্ষ্মা হতে পারে। আর কেউ যদি এমডিআর যক্ষ্মায় আক্রান্ত হন, তবে তার ট্রিটমেন্ট শিডিউল ফলো করতেই প্রায় ৫ লাখ টাকা ব্যয় হবে। এর চিকিৎসা ব্যয়বহুল। তারপরও যে এমডিআর থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে, তা নয়। এজন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে। যক্ষ্মা প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট বক্ষ্মব্যাধী হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. জাকারিয়া মাহমুদ, প্রাক্তন সিনিয়র কনসালট্যান্ড ডা. শাহ আলম। সভায় যক্ষ্মা বিষয়ক তথ্য উপস্থাপন করেন নাটাব’র কেন্দ্রীয় কমিটির প্রজেক্ট ম্যানেজার জিয়াউর রহমান।

সভায় সিলেট বিভাগে কর্মরত ব্র্যাক, হিড বাংলাদেশ, ভার্ড, আশার আলো প্রভৃতি এনজিও সংস্থার প্রতিনিধি ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top