সকল মেনু

আবাদি জমির আয়তন কমে আসছে; তৈরি করা হচ্ছে ঘরবাড়িসহ নানা স্থাপনা

স্টাফ রিপোর্টারঃ কৃষি প্রধান জেলা দিনাজপুরের আবাদি জমির পরিমান দিন দিন কমতে শুরু করেছে। জমির মধ্যে নির্মাণ করা হচ্ছে ইট ভাটা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান ঘরবাড়িসহ নানা স্থাপনা। ফলে আবাদি জমিতে কৃষি পণ্য উৎপাদনে দেখা দিয়েছে বিপর্যয়। এটাকে রোধ করতে না পারলে আবাদি জমির উৎপাদন হ্রাস পাবে। কমে যাবে জমির পরিমাণ, দেখা দিতে পারে খাদ্য ঘাটতি। দিনাজপুর জেলায় জমির পরিমাণ ৬ লক্ষ ৯ হাজার ৫ শত ৫০ হেক্টর। তারমধ্যে আবাদযোগ্য জমি হচ্ছে ২ লক্ষ ৮৮ হাজার ৪ শত ৩১ হেক্টর। দিনাজপুরের খাদ্য চাহিদা বাৎসরিক ৪ লক্ষ ৮৮ হাজার ৫৯ মেট্রিক টন হলেও উৎপাদন হয় বাৎসরিক ১৩ লক্ষ ৩ হাজার ৯ শত ২৩ মেট্রিক টন। অতিরিক্ত খাদ্য শস্য রাজধানীসহ অন্য জেলায় সরবরাহ করা হয়। কিন্তু এখন জমির উৎপাদন বন্ধ করে যেভাবে জমিতে ঘরবাড়িসহ নানান স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে তাতে খাদ্য উৎপাদন এখন হুমকির সম্মুখীন। এর অন্যতম কারণ দেশের বিপুল জনসংখ্যার আবাসস্থানের সংকট। ঘরবাড়িসহ জমির মধ্যে স্থাপনা নির্মাণে যদি প্রশাসনের অনুমতি বাধ্যতামূলক করা হয় তবেই আবাদি জমিতে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব, আর এই জন্য সরকারকেই পদক্ষেপ নিতে হবে বলে জানান আদর্শ কৃষক ও সার ব্যবসায়ী শাহ আলম। তিনি আরও জানান এ ব্যাপারে জমির মালিকদের সচেতন হতে হবে, না হলে জমির মাঝে স্থাপনা তৈরী বন্ধ করা সম্ভব নয়। আবাদি জমির উপর স্থাপনা নির্মাণের নীতিমালা বা আইন একান্ত প্রয়োজন। এ বিষয়ে এক প্রশ্নে জবাবে প্রাক্তন কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ইদ্রিস আলী শাহ্ জানান, আবদি জমির উপর যেভাবে ঘর, বাড়ি, মিল, কারখানা দোকানপাটসহ নানা স্থাপনা তৈরী করা হচ্ছে। তাতে জমির পরিমান দিন দিন কমে আসছে। কিন্তু আমাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি আমাদের প্রতিদিন খাদ্য চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি বলে সরকারি নিয়ম নীতি মেনে আবাদি জমির স্থাপনা তৈরী করলে ক্ষতির পরিমানটা কম হবে। তবে সম্পূর্ণ বন্ধ করার জন্য কঠোর আইন প্রয়োগ করতে হবে সরকারকে। আমাদের সীমিত ভূ-সম্পদ রক্ষা করার জন্য জমির মালিকদের সাথে সরকারকেউ কার্যকরী ভূমিকা রাখতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top