সকল মেনু

ঘরের বারান্দায় ছোট্ট পুকুর

pukur-13390লাইফস্টাইল ডেস্ক : একটা পুকুরে শাপলা ফোটানোর স্বপ্ন কার না থাকে বলুন? কিন্তু শহরের এই যান্ত্রিকতা আর ইট-কাঠের চার দেয়ালের ভেতরে যেটুকু জায়গা থাকে তাতে নিজেরই থাকা দায়। তাই পুকুরের স্বপ্নটা কেবল মাত্র স্বপ্নই থেকে যায়।

খুব সহজেই ঘরের কোণের বারান্দাতেই ছোট্ট একটা পুকুর বানিয়ে ফেলতে পারেন আপনি। এই পুকুরে শাপলা থাকবে, পুকুরের ধার জুড়ে কচু গাছ, ঘাস থাকবে, আবার থাকবে ছোট ছোট মাছও। কি বিশ্বাস হচ্ছে না তো? দেখে নিন তাহলে খুব সহজেই ঘরের বারান্দায় কিভাবে প্লাস্টিকের বা মাটির কন্টেইনার দিয়ে ছোট্ট একটি পুকুর বানানো সম্ভব।

যা যা লাগবে
.প্লাস্টিকের বা মাটির চওড়া মুখের একটি কন্টেইনার
.একটি চেপ্টা টব এবং একটি ছোট লম্বা আকৃতির টব
.শাপলা, কচুরি পানা, কাদা-মাটিতে জন্মে এমন ঘাস ও কচু গাছ।
.পানি
.সার
.মাটি
.ছোট পাথর
.গোল্ড ফিস বা মশা খেকো যে কোনো ছোট মাছ

যেভাবে বানাবেন ছোট্ট পুকুর
শুকনো মাটির সাথে সামান্য জৈব সার মিশিয়ে নিন। এবার চেপ্টা ও লম্বা আকৃতির টবে মাটি ভরে নিন। চেপ্টা টবে শাপলা গাছ বুনে দিন। লম্বা টবটিতে কচু গাছ অথবা কাঁদা মাটির ঘাস বুনে দিন। এবার চওড়া মুখের কন্টেইনারটি ভালো করে পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। কন্টেইনারের ১/৩ ভাগ ছোট ছোট পাথর দিয়ে ভরে ফেলুন। কন্টেইনারের অর্ধেক পর্যন্ত পানি দিয়ে ভরে ফেলুন। এবার কন্টেইনারের পাথরের উপর সামনের দিকে শাপলার টবটি রাখুন এবং পেছনে লম্বা টব টি রাখুন। এবার পুরো কন্টেইনারটি পানি দিয়ে ভরে দিন। এবার পানিতে কয়েকটি গোল্ড ফিস ছেড়ে দিন। তাহলে মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা পাবেন। সব শেষে পানিতে কিছু ছোট কচুরিপানা গাছ ভাসিয়ে দিন। এগুলো নিজেরাই বংশবৃদ্ধি করে নিবে। ব্যাস হয়ে গেলো আপনার স্বপ্নের ছোট্ট একটি পুকুর। এবার কিছুদিন অপেক্ষা করুন। শাপলা গাছ গুলো বড় হয়ে শাপলা ফুটবে এবং কন্টেইনারের কিনার দিয়ে পুকুর পাড়ের মত কচু গাছ ও ঘাস বড় হবে।

ছোট্ট পুকুরের যত্ন
পর্যাপ্ত আলো, বাতাস ও রোদ আছে এমন বারান্দায় রাখুন কন্টেইনারটি। সম্ভব হলে মাঝে মাঝে ছাদে রেখে দিন কয়েকদিনের জন্য। প্রতিদিন অন্তত একবার করে দেখুন কন্টেইনারের উপর পর্যন্ত পানি আছে কিনা। পানি কমে গেলেই আবার পানি দিয়ে ভরে দেবেন। চাইলে বৃষ্টি পানি জমিয়ে রাখতে পারেন। পানি কমে গেলে জমানো বৃষ্টির পানি দিলে গাছ ভালো থাকবে।
মরা পাতা জমতে দেবেন না। পাতা মরে পচে গেলে পানি নষ্ট হয়ে যাবে। তাই সব সময় মরা পাতা ফেলে দিন। নিয়মিত মনে করে মাছের খাবার দিন। তবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার দিবেন না। তাহলে পানি নষ্ট হয়ে দুর্গন্ধ হয়ে যাবে। গাছ খুব বেশি বেড়ে গেলে মাঝে মাঝে ছেটে দিন। অল্প জায়গায় অতিরিক্ত গাছ জন্মে গেলে গাছের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। মাসে অন্তত একবার পানি বদলে দিন পুকুরের। পানি বদলানোর সময় কন্টেইনারের গায়ে জন্মানো পিচ্ছিল শেওলা পরিষ্কার করে দিন ভালো করে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top