বাগেরহাট প্রতিনিধি : সুন্দরবনের গহীন অরণ্যে বাগেরহাটের শরণখোলা রেঞ্জের চান্দেশ্বর ফরেস্ট ক্যাম্পের কাছে কাতলার খাল এলাকায় র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সৈকত বাহিনীর ৩ সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ২ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- সাদ্দম (২৭) ও সোহেল (২৫)। তাদের বাড়ি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা এলাকায় বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এই ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে। এ সময়ে ঘটনাস্থল থেকে ১২টি আগ্নেয়াস্ত্র, চাঁদা আদায়ের রশিদ এবং অর্ধশতাধিক রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-৮ এর উপ-অধিনায়ক মেজর আদনান কবির এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সুন্দরবনের পাথরঘাটা-শরণখোলা এলাকায় সাগর ও সৈকত বাহিনী নামে একটি বনদস্যু গ্রুপ দীর্ঘদিন জেলেদের অপহরণ, মাছ লুট, চাঁদা আদায় ও মুক্তিপণের টাকা আদায় করতো। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব-৮ এর গোয়েন্দা টিম ওই এলাকায় গোপনে গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক বিস্তার করে।
তিনি জানান, বুধবার রাতে র্যাবের গোয়েন্দা টিমের মারফত জানতে পারে বৃহস্পতিবার সকালে সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের চান্দেশ্বর এলাকায় বনদস্যু সাগর-সৈকত বাহিনীর সদস্যরা জেলে অপহরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে- এমন খবরের ভিত্তির বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ওই এলাকায় র্যাব তৎপরতা বৃদ্ধি করে। একপর্যায়ে চান্দেশ্বর ফরেস্ট ক্যাম্পের পাশের কাতলার খাল এলাকা থেকে র্যাবের টহল দলের ওপর বনদস্যুরা পরপর ২ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। র্যাবও পাল্টা গুলি বর্ষণ করে। প্রায় আধাঘণ্টা গুলি বিনিময়ের পর বনের ভেতর থেকে গুলির শব্দ থেমে গেলে র্যাব ও পুলিশ ওই স্থানে অভিযান চালিয়ে ৩ বনদস্যুর গুলিবিদ্ধ লাশ, আগ্নেয়াস্ত্র ও ছড়ানো ছিটানো অর্ধশতাধিক রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করে।
নিহত ৩ জনের মধ্যে স্থানীয় জেলেরা সাদ্দাম ও সোহোল নামে ২ বনদস্যুকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন বলে র্যাব সদস্যরা জানান।
নিহত বনদস্যুদের লাশ ও আগ্নেয়াস্ত্র বাগেরহাটের শরণখোলা থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে র্যাব-৮ এর উপ-অধিনায়ক মেজর আদনান কবির জানান।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।