সকল মেনু

মৌলভীবাজারের আদমপুর বনবিটের ৬ একর জমি উদ্ধারে আদালতের আদেশ আমলে নেয়নি বনবিভাগ : জনমনে নানা প্রশ্ন

Pic--Kamalgonj2মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রাজকান্দি বন রেঞ্জের আদমপুর বনবিটের প্রায় ৬ একর জমি উদ্ধারে আদালতের আদেশ আমলে নেয়নি স্থানীয় বন বিভাগ। স্থানীয় এক প্রভাবশালীর অবৈধ দখলে থাকা ওই জমি উদ্ধার পূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বন বিভাগকে নিদের্শ প্রদান করেন। কিন্তু রহস্যজনক কারনে বন বিভাগ আদালতের সেই আদেশ আমলে না নেওয়ায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, সিলেট বন বিভাগের কমলগঞ্জের রাজকান্দি বন রেঞ্জের আওতায় আদমপুর বন বিটের কাঁঠালকান্দি এলাকায় বন বিভাগের ৬ একর জমি দখল করে ভোগদখল করছেন কাঁঠালকান্দি গ্রামের মখলিছ মিয়া। এ জমির মালিকানা নিয়ে একই এলাকার সামছুল হকের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এ নিয়ে আদালতে একাধিক মামলা রয়েছে। মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে থাকা একটি স্বত্ব মামলার রায় প্রদান করা হয় গত বছরের ১৫ অক্টোবর। আদালতের এক আদেশে বলা হয় “নালিশা ভূমি ২য় পক্ষ সামছুল হকের দখলে ছিল। কিন্তু ২য় পক্ষ এসএ অথবা তৌজি দাখিল করেন নাই। তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায় নালিশা ভুমি বন বিভাগের। এতে প্রথম পক্ষ মখলিছ মিয়া ও দ্বিত্বীয় পক্ষ সামছুল হকের কোন স্বত্বস্বার্থ নাই। এমতাবস্থায় বন বিভাগকে যেই অবৈধ দখলে থাকা তাকে উচ্ছেদের জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বলা হলো এবং উচ্ছেদ পূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হউক। উভয় পক্ষকে মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো”। আদালতের এ আদেশের পর ২য় পক্ষ সামছুল হক বন বিভাগের জমি ভোগদখল না করলেও প্রথম পক্ষ মখলিছ মিয়া বন বিভাগের ৬ একর জমি ভোগদখল অব্যাহত রেখেছেন। বন বিভাগের জমিতে গজিয়ে উঠা ছন ও বনজদ্রব্য কেটে লাখ লাখ টাকা বিক্রি করে বন বিভাগের বছরে কোটি টাকার বনজদ্রব্য ধবংস করা হচ্ছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। সরজমিন দেখা যায়,শ্রমিক দিয়ে মখলিছ মিয়া ছন কাটাচ্ছেন বিক্রির জন্য। ওই এলাকায় অসংখ্য গাছের মুথা স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বন বিভাগের সম্পদ রক্ষায় কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না বন বিভাগও। আদালত বন বিভাগের জমিতে যেই অবৈধ থাকা তাকে উচ্ছেদ করার জন্য বললেও রহস্যজনক কারণে জমি উদ্ধারে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না বন বিভাগ। আলাপকালে মখলিছ মিয়া বন বিভাগের জমি ভোগদখল ও জমির মালিকানা দাবী করে বনজদ্রব্য বিক্রি করলেও তিনি জমির মালিকানার বৈধ কোন রেকর্ডপত্র দেখাতে পারেননি। আলাপকালে মখলিছ মিয়ার পুত্র কামাল মিয়া বলেন,মৌরশী ও ক্ররিদা সুত্রে তারা ওই ৬ একর জমির মালিক। একটি মহল তাদের রেকর্ডি জমি দখলে নানা অপপ্রচার করছে। আদালতের আদেশের ব্যাপারে তিনি আইনী পদক্ষেপ নিবেন।
আদমপুর বনবিট কর্মকর্তা রবীন্দ্র সিংহ বলেন, মখলিছ মিয়া গং আদালত থেকে তার ফসলাদিতে যাতে বন বিভাগ কোন হস্তক্ষেপ না করে এর একটি নিষেধাঞ্জা এনেছেন এবং বনবিভাগকে বিবাদী করে আরো একটি মামলা করেছেন। যার ধার্য তারিখ আসছে মার্চ মাসে নির্ধারন করা আছে। আদালতের নির্দেশ কেন পালন করা হচ্ছে না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশের সার্টিফাই কপি এখনো পাইনি।
রাজকান্দি রেঞ্জ কর্মকর্তা মামুন আল আমিন মোঃ মালেকুজ্জামান আদালতের আদেশ সংক্রান্ত এক প্রশ্নে তিনি বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে বন বিভাগের জমি উদ্ধারে দ্রুত বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top