সকল মেনু

আমি কার কাছে বিচার চাইবো, আমি যে বড় অসহায়

picএস আই মল্লিক(ঝিনাইদহ) : পিতা হারা আমি আমার দু’ছেলে-মেয়েকে নিয়ে সমাজের দ্বারে-দ্বারে ঘুরে বেরাচ্ছি সুধু একটি বিচারের আসায়। এভাবেই কথা গুলো বললেন আর কাঁদলেন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার কাজিরবেড় ইউনিয়নের চারাতলা পাড়া গ্রামের মৃত বিল্লাল হোসেনের কন্যা মুসলিমা খাতুন।
মুসলিমা খাতুন জানান,যৌতুকের দাবীতে আমাকে নির্যাতন করে তালাক দিয়েও ক্ষ্যান্ত হয়নি আমার স্বামী, শেষ পর্যন্ত আমার ও আমার দু’ছেলে-মেয়েকে পুড়িয়ে হত্যা করার জন্য আমার ঘরে আগুন পর্যন্ত ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপরও আমি আজ পর্যন্ত কোন বিচার পায়নি। ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দিয়েছি,থানায় মামলা করেছি এমনকি র‌্যাবের কাছে অভিযোগও দিয়েছি। তার পরও এই অসহাই মেয়ের জন্য কোন কর্মকর্তায় এগিয়ে আসেননি।
মুসলিমা খাতুন আরো জানান, ১৩ বছর পূর্বে মহেশপুর উপজেলার কাজিরবেড় ইউনিয়নের ঝিটকিপোতা গ্রামের মান্দার মিয়ার পুত্র রমজান আলীর সাথে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর ১ ছেলে ও ১ কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। প্রায় ১ বছর পূর্বে থেকে আমার স্বামী রজমান আলী বিভিন্ন কারণে অকারণে যৌতুকের দাবীতে আমাকে অমানসিকভাবে নির্যাতন করে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দেয়। এরপর আমি আইনের আশ্রয় নিতে গেলে শুরু হয় আমাকে মেরে ফেলার চক্রান্ত। গত ৬ মাস পুর্বে আমাকে তালাক দিয়ে আমার বাবার বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়।
৫ আগস্ট গভীর রাতে আমাকে ও আমার দু’ছেলে মেয়েকে পুড়িয়ে মেরে ফেলার জন্য আমার ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এলাকাবাসীর সহযোগীতায় আমরা প্রানে বেঁচে গেলেও আমার ঘরের কিছুই রক্ষা করতে পারেনি। ফলে ঘরের আসবাবপত্র সহ সব জিনিসিপত্রই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
কাজিরবেড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল আলী জানান,আমাদের কোন বিচারই মানতে চাইছে না মুসলিমা খাতুনের স্বামী রমজান আলী। এখন অসহাই এই মেয়েটি তার দু’টি সন্তান নিয়ে স্বামীর বিচার চেয়ে সমাজের বিবেকবানদের দ্বারে-দ্বারে ঘুরে।
মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাছিমা খাতুন জানান, আসলেই মহিলাটি খুবই অসহাই। আমার তাকে ভিজিএফ এর মাধ্যমে চাউল দেওয়ার ব্যবস্তা করে দিয়েছি। এবং তার ঘর নির্মানের জন্য টিন দেওয়া হবে। তাছাড়া আমাদের সাধ্যমত তার সব রকম সহ যোগিতা করবো।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top