সকল মেনু

অবরোধে চা শিল্পে ধস, নিলামে যেতে পারছে না বাগানগুলো

অবরোধে চা শিল্পে ধসনিজস্ব প্রতিবদেক : টানা অবরোধ আর হরতালে ধস নেমেছে চা শিল্পে।  অবরোধে চা পরিবহনকারী যানবাহন চলাচল প্রায় বন্ধ থাকায় চট্টগ্রামে প্রতি সপ্তাহের চা নিলামে অংশ নিতে পারছে না বাগানগুলো।  ফলে হাজার হাজার কেজি চা অবিক্রিত অবস্থায় পড়ে আছে ফ্যাক্টরিতে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এতে চায়ের মান ও দাম পড়ে যাওয়ার পাশাপাশি বড় অঙ্কের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হবে সরকার।

২০১৩ মৌসুমে দেশের ১৬৩টি বাগান চা উৎপাদনে অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়।  চা উৎপাদনের এমন অগ্রগতিতে চলতি মৌসুমের শেষ পর্যায়ে এসে টানা অবরোধ আর হরতালে চট্টগ্রামের চা নিলামে অংশ নিতে পারছে না বাগানগুলো।  হাজার হাজার কেজি চা অবিক্রিত অবস্থায় পড়ে আছে ফ্যাক্টরিগুলোতে।

সিলেট বুরজান চা-বাগানের ফ্যাক্টরি ম্যানেজার বোরহান আহসান বলেন, ‘আমাদের এখানে প্রায় ১ লক্ষ কেজির মতো চা পড়ে আছে, গত এক মাসের হরতাল-অবরোধের কারণে তা নিলামের জন্য পাঠাতে পারছি না’।

সারা মৌসুমে চট্টগ্রাম নিলাম কেন্দ্রে ৪৫টি নিলামের মাধ্যমে ১শ’ ১৮টি ফ্যাক্টরিতে উৎপাদিত চা নিলামের জন্য নেয়া হয়ে থাকে।  এর মধ্যে গত ১০ ফেব্রুয়ারি ৩৮তম নিলামে অংশ নিতে পারেনি অধিকাংশ চা বাগান।

এছাড়া, এর আগে নিলামকৃত অনেক চা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না।

এম আহমদ টি অ্যান্ড ল্যান্ডস কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ মহিউদ্দিন বলেন, ‘টানা অবরোধের কারণে আমাদের চা পৌঁছাতে পারছি না, ফলে আমাদের চায়ের গুণগত মান কমে যাচ্ছে, এ চা বিক্রি করে ভালো দাম পাওয়া যাবে না’।

এদিকে, অবরোধে নাশকতার আশঙ্কায় দেশের ৯০ ভাগ চা উৎপাদনকারী অঞ্চল সিলেট থেকে চা যেতে পারছে না চট্টগ্রামে নিলামের জন্য।  ফলে বিরাট ক্ষতি হচ্ছে চা শিল্পের, পাশাপাশি সরকারেরও।

সিলেট এস্টেট লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক আবদুস সবুর খান বলেন, ‘চায়ের দাম যদি কমে যায়, ভ্যাটের পরিমাণও কমে যাবে; ফলে আমাদের পাশাপাশি সরকারও ক্ষতিগ্রস্ত হবে’।

১৯৯০ সালে দেশে চা উৎপাদন হয়েছিল এক কোটি ৮৪ লাখ কেজি।  আর ২০১৩ সালে সেই উৎপাদন এসে দাঁড়ায় ৬ কোটি ৬৩ লাখ কেজিতে।  আর সরকার চা শিল্প থেকে গত মৌসুমে দেড় হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top