সকল মেনু

ব্রণ সমস্যা সমাধানে যা করনীয়

ব্রণলাইফস্টাইল ডেস্ক : মুখের সৌন্দর্য ব্রণের কারণে ব্যহত হতে পারে। চারপাশের প্রতিকূল পরিবেশ, দূষণ এর সাথে যোগ করতে পারে বাড়তি মাত্রা। তবে ব্রণ সমস্যার অন্যতম কারণ বংশগত। এক ধরনের (পি. ব্যাকটেরিয়াম একনিস) জীবাণু আমাদের লোমের গোড়ায় স্বাভাবিকভাবেই থাকে। এন্ড্রোজেন হরমনের প্রভাবে সেবাম/ঘাম এর নিঃসরণ (মাথা, মুখ, ইত্যাদি জায়গায় তেলতেলে ভাব) বেরে হয় এবং লোমের গোড়াতে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া সেবাম থেকে ফ্যাটি অ্যাসিড তৈরি করে। অ্যাসিডের কারণে লোমেকূপের গোড়ায় প্রদাহের সৃষ্টি হয় এবং লোমের কেরাটিন জমা হতে থাকে। যা পরবর্তীতে রূপান্তরিত হয় ব্রণে।

বিভিন্ন রকমের ব্রণ
•একনি কসমেটিকা: কোনো কোনো প্রসাধনী লাগাতার ব্যবহারে মুখে অল্প পরিমাণে ব্রণ হয়ে থাকে।
•প্রিমেন্সট্রুয়াল একনি: কোনো কোনো মহিলার মাসিকের সাপ্তাহ খানেক আগে ৫-১০টির মতো ব্রণ মুখে দেখা দেয়।
•একনি ডিটারজিনেকস: মুখ অতিরিক্ত ভাবে সাবান দিয়ে ধুলেও (দৈনিক ১/২ বারের বেশি) ব্রণের পরিমাণ বেড়ে যায়।
•ট্রপিক্যাল একনি: অতিরিক্ত গরম এবং বাতাসের আর্দ্রতা বেশি হলে পিঠে, উরুতে ব্রণ হয়ে থাকে।
•স্টেরয়েড একনি: স্টেরয়েড ঔষধ সেবনে হঠাৎ করে ব্রণ দেখা দেয়। মুখে স্টেরয়েড, যেমন– ডার্মোভেট জাতীয়। ঔষুধ
একাধারে অনেকদিন ব্যবহারে ব্রণের পরিমান বেড়ে যায়।

ব্রণ থেকে প্রতিকার:
ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে হলে প্রথমেই যেটি করতে হবে, তা হলো মুখ পরিষ্কার রাখা। বাইরে থেকে এসেই ক্লিনজিং মিল্ক দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে ফেসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মুখের যত্নের অন্যান্য বিষয়গুলো মেনে চলুন। ব্রণের ধরণ অনুযায়ী চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারেন। ব্রণের পরিমাণ যদি খুব বেশি হয় তবে টেট্রাসাইক্লিন বা ইরাইথ্রোমাইসিন এন্টিবায়োটিক খেতে পারেন। এ জাতীয় ওষুধ একাধারে অনেক দিন খেতে হয়। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে বলে এসব ওষুধ একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের অধীনে খাওয়াই মঙ্গল। তবে সাধারণভাবে রেটিন-এ ক্রীম অথবা পেনক্সিল ২.৫% জেলটি নিরাপদে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি সূর্য ডোবার পর (সন্ধার পর) শুধু গোটাগুলোতে ১/২ দিন ব্যবহারের পর ঠিক হয়ে যায়। লালভাব বা এলার্জি যদি খুব বেশি হয় তবে ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়াই ভাল।
আশার কথা হলো যাদের মুখে ব্রণের কারণে অনেক দাগ হয়েগেছে, তাদের মুখের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে লেজার ট্রিটমেন্ট উন্নত বিশ্বে খুবই জনপ্রিয়। আমাদের দেশেও এ ধরণের অনেক লেজার ট্রিটমেন্ট ক্লিনিক গড়ে উঠেছে। যাচাই-বাছাই করে তাদের পরামর্শ নিতে পারেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top