নওগাঁ প্রতিনিধি : উত্তরাঞ্চলের শস্য ভান্ডার খ্যাত নওগাঁয় মাঠে মাঠে এখন বাতাসে দোল খাচ্ছে উজ্জ্বল হলুদ ফুলের সরিষার খেতগুলো। এ অঞ্চলের বাড়তি ফসল হিসেবে সরিষা চাষাবাদ অনেকটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তা এক বাক্যে বলে দেয়া যায়। ইতিমধ্যে অনেক স্থানে টরি-৭ জাতের সরিষা আধাপাকা অবস্থায় রয়েছে। আর সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে এ সরিষা পুরোদমে পাকতে শুরু করবে বলে কৃষকরা আশা করছেন। এছাড়া জেলার মান্দা উপজেলার কুশুম্বা, তেঁতুলিয়া, পরানপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের মৌ চাষিরা সরিষা খেত থেকে বাড়তি আয় হিসেবে মধু আহরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এতে বেশ আয়ও হচ্ছে। বিভিন্ন মাঠে মাঠে গিয়ে দেখা যায়, উজ্জ্বল হলুদ ফুলে সরিষার খেতগুলো যেন হাসছে। রাস্তার দু’ধারে পথে-ঘাটে- প্রান্তরে, মাঠে-বিলে সরিষা ফুলের মৌ মৌ গন্ধ। দৃষ্টি নন্দন এ দৃশ্য দেখে যেন জুড়িয়ে যায় সবার মন ও প্রাণ। এবার অধিক সরিষা চাষ হয়েছে মান্দা উপজেলায়। ৬ হাজার ৬শত হেক্টর জমিতে সরিষার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হলেও সরিষার আবাদ করা হয়েছে প্রায় ৬ হাজার ৫শত হেক্টর জমিতে। এ ছাড়া জেলার মহাদেবপুর, পত্নীতলা, সাপাহার, নিয়ামতপুর ও আত্রাইসহ ১১ টি উপজেলায়ই এবার রেকর্ড পরিমান সরিষা চাষ হয়েছে। নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সত্যব্রত সাহা জানান, এবার প্রথম থেকে সরিষার জন্য অনুকুল আবহাওয়া বিরাজ করায় ভাল ফলন হয়েছে । পোকার আক্রমণ কম থাকায় এই এলাকায় এবারও সরিষার বাম্পার ফলন হবে বলে কৃষকসহ এর সাথে সংশ্লিষ্ট সবার আশা।
প্রসাদপুর গ্রামের কৃষক ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য নুরুল ইসলাম জানান, বিঘা প্রতি ৬ মণ হারে সরিষা উৎপাদন হলেও সব খরচ বাদ দিয়ে তারা ভালো লাভবান হতে পারবেন। তবে এবারও তীব্র শীতে ও ঘন ঘন কুয়াশার কারণে কিছুটা হলেও প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে। তারপরও সার্বিকভাবে আবহাওয়া অনুকূল থাকায় সরিষার বাম্পার ফলন হবে বলে তিনি আশা করছেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।