সকল মেনু

গৃহস্থালী কাজ সহজ করতে ওয়ালটন প্রযুক্তি নির্ভর

অর্থনৈতিক রিপোর্টার :: ব্যস্ত জীবনে ঘর গৃহস্থালী কাজ সামলানো এখন একটা বড় ঝামেলা। সেই ঝক্কি ঝামেলা মোকাবেলা এবং সংসারে শান্তি বয়ে নিয়ে আসছে ওয়ালটনের হোম এ্যাপ্লায়েন্স বা গৃহস্থালী পণ্য। প্রযুক্তি নির্ভর এসব পণ্য ঘরকন্নার কাজকে করে দিচ্ছে সহজ। যে কেউ অনয়াসে এসব ওয়ালটন পণ্য ব্যবহার করে স্বস্তি পেতে পারেন।

দেশের জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ওয়ালটন বাজারে এনেছে ৩৪ ধরনের গৃহস্থালী পণ্য। এসব পণ্য উৎপাদন ও বিক্রির ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ ইলেক্ট্রনিক্স, অটোমোবাইলস ও হোম এ্যাপ্লায়েন্স প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন। এর মধ্যে শীত সামনে রেখে রুম হিটার, ইলেক্ট্রিক কেটলি, ওভেন, ইন্ডাকশন কুকার, মাইক্রোওয়েভ ওভেন এবং ওয়াশিং মেশিন ইত্যাদি পণ্যের বিক্রি ব্যাপকহারে বাড়বে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা। সেভাবে প্রস্তুতিও নিচ্ছে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ। এছাড়া এয়ার ফ্রাইয়ার কুকার একটি নতুন প্রযুক্তি। শীঘ্রই এটি বাজারে আসছে। এতে রান্না করতে আলাদাভারে তেলের প্রয়োজন হয় না (৮০ ভাগ চর্বিমুক্ত রান্না করতে সক্ষম) এবং রান্না হয় খুব দ্রæত।
ওয়ালটন ব্র্যান্ডের অন্যান্য হোম এ্যাপ্লায়েন্সের মধ্যে রয়েছে- এয়ারকুলার, অটোমেটিক ভোল্টেজ স্টাবিলাইজার, কারি মাল্টি কুকার, ডিভিডি প্লেয়ার, ইলেক্ট্রিক ক্লথ ড্রাইয়ার, বেøন্ডার, ইলেক্ট্রিক কেটলি, ইলেক্ট্রিক প্রেসার কুকার, ফ্যান, ফুড প্রসেসর, গ্যাস স্টোভ, ডমেস্টিক জেনারেটর, হেয়ার ড্রায়ার, হেয়ার স্ট্রেটনার, আইপিএস, আয়রন, জুসার, কিচেন কুকওয়্যার, এলইডি বাল্ব, মিক্সার, মপ (এমওপি), ওভেন, রাইস কুকার, সালাদ মেকার, স্যান্ডউইচ মেকার, স্যুয়িং মেশিন, টোস্টার, ভ্যাকুয়াম ফ্লাস্ক, ওয়াটার ডিসপেনসার এবং ওয়েট মেশিন।
জানা গেছে, গৃহস্থালী এসব পণ্যের চাহিদা দেশে দিন দিন বাড়ছে। জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন এবং দ্রæত ঘরের খুঁটিনাটি কাজ শেষ করতে এসব পণ্যের জুড়ি নেই। এতোদিন বিদেশ থেকে আমদানি করে গৃহস্থালী পণ্যের চাহিদা মেটানো হতো। এরফলে ক্রেতাদের যেমন বাড়তি পয়সা গুনতে হতো, তেমনি আমদানিবাবদ দেশ থেকে বিপুল অঙ্কের অর্থ বিদেশে চলে যেত। এরইমধ্যে ওয়ালটন হোম এ্যাপ্লায়েন্স পণ্য উৎপাদনের প্রস্তুতি নিয়েছে।
ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গৃহস্থালী পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আরো একধাপ এগিয়ে যাবে। ইতোমধ্যে ফ্রিজ, মোটরসাইকেল এবং টেলিভিশন উৎপাদনে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বর্তমান এসব পণ্য বিদেশে রফতানি করা হচ্ছে। ঠিক একইভাবে, গৃহস্থালী পণ্য উৎপাদন ও বিপণনের মাধ্যমে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রফতানি করা সম্ভব হবে।
এছাড়া দেশের গার্মেন্টস শিল্পে প্রতিবছর বিপুল পরিমান স্টিম ও ড্রাই আয়রণ প্রয়োজন হয়, যা সম্পূর্ণ বিদেশ থেকে আমদানি করা হতো। এখন ইন্ডাস্টিয়াল ও ডমেস্টিক আয়রণ দেশেই উৎপাদন করবে ওয়ালটন।
ওয়ালটনের সংশ্লিষ্ট বিপণন বিভাগ বাজার পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে, দেশে গৃহস্থালী পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কিন্তু এসব পণ্যের নিজস্ব কোন উৎপাদন নেই। ফলে এর পুরোটাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করে চাহিদা মেটানো হয়। অথচ ইলেক্ট্রনিক্স ও অটোমোবাইল খাতের মতো এ শিল্পেও বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ওয়ালটনের সোর্সিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারি পরিচালক মাসুদুর রহমান বলেন, গৃহস্থালী পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বাংলাদেশে। কিন্তু পুরোটাই আমদানি নির্ভর। ওইসব পণ্যের গুনগত মান নিয়েও যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে। আর এ কারণে আমদানি নয়, এবার ওয়ালটনের নিজস্ব কারখানায় উৎপাদন হবে এসব পণ্য। এর ফলে ক্রেতারা সাশ্রয়ী মূল্যে উচ্চমানের পণ্য কেনার সুযোগ পাবেন।
ওয়ালটনরে অপারেটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম জানান, গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন মাইক্রোটেক কর্পোরেশনে হোম এ্যাপ্লায়েন্স তৈরির জন্য কারখানা নির্মাণকাজ দ্রæত গতিতে এগিয়ে চলছে। নিয়োগ করা হয়েছে বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী সহ সুদক্ষ কর্মীবাহিনী। এর জন্য রয়েছে আলাদা গবেষনা ও উন্নয়ন বিভাগ।
উল্লেখ্য, ইলেক্ট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল ও অটোমোবাইলস পণ্য উৎপাদনে সফল হয়েছে ওয়ালটন। দেশের চাহিদা মিটিয়েও ওয়ালটনের তৈরি ফ্রিজ, টিভি, এয়ারকন্ডিশনার ও মোটরসাইকেল রফতানি হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। আমদানিকারক নয়, উৎপাদনমুখী দেশ হিসেবে বিশ্বে বাংলাদেশকে মেলে ধরতে সক্ষম হয়েছে এ প্রতিষ্ঠানটি। গৃহ¯া’লী পণ্য উৎপাদন ও বিপণনেও নতুন চমক সৃষ্টি করতে চায় ওয়ালটন। এ লক্ষ্যে ওয়ালটনের গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগ দীর্ঘদিন ধরে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।

 

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top