সকল মেনু

ভোলার মনপুরায় ১শ’ ৫৬ শিক্ষার্থীর সমাপনী পরীক্ষা অনিশ্চিত !

 ভোলা প্রতিনিধি: ভোলার মনপুরা উপজেলার মূল ভূ-খন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন কলাতলীর চর। মনপুরার ভাঙ্গনকবলিত এলাকার ২০ সহস্রাধিক ভূমিহীন মানুষ এ চরে বসবাস করছে। চরে বসবাসরত ভূমিহীন পরিবারদের সন্তানরা ৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ঝড়ে পরা শিক্ষার্থীরা ৭টি আনন্দ স্কুলে পড়ালেখা করছে। এবার চরে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় (পিএসসি) ১০ টি স্কুলের ১ শ’ ৫৬ জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করার কথা থাকলেও যোগাযোগের অ-ব্যবস্থাপনা ও কেন্দ্র না থাকার কারণে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এতে করে ওই সকল শিক্ষার্থী ঝরে পরার আশংকা রয়েছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, এবারের প্রাথমিক সমাপনী পারীক্ষায় ২ হাজার ৭শ’ ৬৫ জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করবে। এর মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ১ হাজার ২শ’ ৯০ জন ছাত্র-ছাত্রী এবং আনন্দ স্কুল থেকে ১ হাজার ৪শ’ ৭৫ জন ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করবে। এদের মধ্যে কলাতলীর চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৬২ জন, মাছুয়াখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় (প্রস্তাবিত) থেকে ১২ জন এবং মনপুরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২৩ জন পরীক্ষার্থী এবং ৭টি আনন্দ স্কুল থেকে মোট ১শ’ ৫৬ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করার কথা রয়েছে।
অভিভাকদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, এই চরের সকল বাসিন্দারা ভূমিহীন। তারা নদীতে মাছ ধরে ও চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করছে। প্রতিদিন মেঘনা পাড়ি দেয়া ও কেন্দ্রে কাছাকাছি রেখে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করানো অনেক ব্যয় বহুল। তাই তাদের সন্তানদের পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তাদের দাবী কলাতলীর চরে একটি কেন্দ্র স্থাপন করা হলে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করতে পারবে তাদের সন্তানরা।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল্লাহ আল বাকী জানান, শিক্ষা অফিস আগে জানালে একটি পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্র স্থাপন করা যেত। সাব-কেন্দ্র স্থাপনে জটিলতা আছে। এই মুহুর্তে কেন্দ্র স্থাপন করা সম্ভব নয়। তবে কলাতলীর চরের পরীক্ষার্থীরা যাতে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করতে পাওে সে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top