নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যতই হুমকি দেন। কোনো কাজ হবে না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ হবে বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের সোনার বাংলা। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হবে। ইনশাল্লাহ ২০২১ সাল লাগবে না। তার আগেই হবে। আর ২০৪১ সালে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ ক্ষুধা-দারিদ্র্য মুক্ত সমৃদ্ধিশালী উন্নত দেশ হবে।’

শনিবার বিকেলে জাতীয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুবলীগের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পুনর্মিলনী সমাবেশ ও যুব জাগরণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

‘বিশ দল এখন বিষফোঁড়ায় পরিণত হয়েছে’, মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন বিএনপির বিশ দলে যারা আছে, তারা কেউ স্বাধীনতাবিরোধী, কেউ খুনী। তাদের নিয়ে বিশ দল গঠন করা হয়েছে। বিশ দলে নেতারা বিষফোঁড়ার মতো। বিশ দল এখন বিষফোঁড়ায় পরিণত হয়েছে। এতে কোন সন্দেহ নেই।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ’৭৫ পরবর্তী সময়ে খুনীদের রাজনৈতিক দলে আশ্রয় দিয়েছে। ওই সময় জাতীয় চার নেতাসহ রাজনৈতিক নেতাদের হত্যা করেছে। বঙ্গবন্ধু এবং জেল হত্যা খুনীদের পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছিল মোশতাক আর জিয়াউর রহমান। আর ওই খুনীদের বিমানে করে পালিয়ে যেতে যে সবকিছুর বন্দোবস্ত করেছিল, সে এখনো বিএনপিতে রয়ে গেছে। তিনি বিএনপি নেতা শমসের মবিন চৌধুরী। আর এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেভেন মার্ডারের আসামিকে মুক্তি দিয়েছিল কে? তিনিও জিয়াউর রহমান। ওই আসামি এখনো ২০ দলে রাজনীতি করছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনুরূপভাবে বিএনপি নেত্রী একই পথ নিয়েছেন। আজকে তিনিও যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিয়েছেন। আজকে বিএনপি নেত্রীর জনসভার চেহারা দেখলে স্পষ্ট হয়- তিনি স্বাধীনতার পক্ষে, নাকি রাজাকারের পক্ষে। কারণ জনসভায় সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি চেয়ে প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। তাহলে এখন কী জবাব দিবেন বিএনপি নেত্রী? তাহলে কি আপনি বাংলাদেশের পক্ষে, নাকি স্বাধীনতার বিপক্ষে!’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা ওয়াদা করেছিলাম যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করব। আমরা করে দেখিয়েছি। বিচার চলছে, চলবে। একে একে সব রায় কার্য্কর করা হবে।’

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আর্ন্তজাতিক চাপ ছিল। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ তো কারো কাছে মাথা নত করে না। আমরা বিজয়ী জাতি। সব সময় মাথা উঁচু করে চলব। যুবসমাজকে সেভাবেই তৈরি হতে হবে। কারো কাছে ভিক্ষা চাইতে হবে না।’

যুবলীগের অতীত সংগ্রাম তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যুবলীগ অতীতে যেভাবে আত্মত্যাগ করেছে, আগামীতেও দেশ ও জাতির স্বার্থে যে কোন আত্মত্যাগে প্রস্তুত থাকতে হবে। একটা জিনিস মনে রাখবেন। এমন কোন কাজ করবেন না যাতে যুবলীগের বদনাম হয়। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় যুবলীগকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।’

সমাবেশে যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন যুবলীগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানক এবং যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ। যুবলীগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমসহ সংগঠনটির বর্তমান ও প্রাক্তন নেতারা সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।

বিশ দল এখন বিষফোঁড়া : শেখ হাসিনা