কাঞ্চন কুমার, কুষ্টিয়া : কাজলী, অশোকা, সন্ধ্যা ও সীতা কুষ্টিয়ায় এসেছে মুষ্টিভিক্ষা করতে। এদের বাড়ি পার্শ্ববর্তী পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সাঁড়া এলাকায়। স্বামী ও সন্তানের মঙ্গল কামনায় তারা মুষ্টিভিক্ষা করে মা মনসার পূজা করবে।
এ থেকে পিছিয়ে নেই কুষ্টিয়ার হিন্দু সম্প্রদায়ের বধুরাও। তারাও দল বেঁধে বেরিয়ে পড়েছে এ গ্রাম থেকে সে গ্রাম। এ পাড়া থেকে সে পাড়ায়। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে মুষ্টিভিক্ষা করছে তারা।
বুধবার দুপুরে জেলার মিরপুর উপজেলার সদরপুর গ্রামে কথা হয় টুনু রাণী, সারথী রাণী, চায়না রাণী, অনিকা রাণী, কল্যাণী রাণী, দিপালী রাণী, ওজিতা রাণী এবং হিমালা রাণীর সঙ্গে। তারা এসেছে জেলার কাকিলাদহ গ্রাম থেকে মুষ্টিভিক্ষা করতে। তারা বলেন, ‘মা মনসা ভক্তদের স্বপ্নে আদেশ দিয়েছেন। বলেছেন, তোরা আমাকে ভুলে গেছিস। আমাকে আর আগের মত ভক্তি করিস না। তাই তোদের ওপর আমি রেগে আছি। তোরা আমার পূজা দে। তা না হলে অমঙ্গল হবে। মা মনসা ভক্তদের পূজা করার কঠিন শর্তও দিয়েছে।’
মা মনসার ভক্ত চায়না রাণী, অনিকা রাণী জানান, তাদের বাড়ি বাড়ি মুষ্টিভিক্ষা করে পূজা দিতে হবে। তবে তিনি গ্রহণ করবেন সে পূজা।
মা মনসাকে খুশি করতে কুষ্টিয়া সদর, মিরপুর, কুমারখালী, খোকসা, দৌলতপুর, ভেড়ামারা ও ইবি থানা এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের মা, বউরা, দল বেঁধে বাড়ি বাড়ি ঘুরে মুষ্টিভিক্ষা করছে।
মিরপুর উপজেলার সদরপুর গ্রামের সাবিত্রী রাণী জানান, হিন্দু সম্প্রদায়ের নারীরা মা মনসার পূজার জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে মুষ্টিভিক্ষা করছেন। সামর্থ্য অনুযায়ী যে যা দিচ্ছে, তাই নিচ্ছে তারা। কেউ দিচ্ছে চাল-ডাল, সরষের তেল, কেউ হলুদ-মরিচ। আবার কেউ কেউ টাকা দিচ্ছে।
মিরপুর উপজেলার সদরপুর পূজা মন্দিরের পুরোহিত তরুণ কুমার জানান, জেলার সব এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের মা, বউরা মুষ্টিভিক্ষা করে মা মনসার পূজা করবে। তারা স্বামী ও সন্তানদের মঙ্গল কামনায় মুষ্টিভিক্ষা করে মা মনসা পূজা করবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।