নওগাঁ প্রতনিধি : নওগাঁ জেলায় আমন খেতের সর্বত্র খোলপচা রোগ ও কারেন্ট পোকা দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন কীটনাশক ব্যবহার করেও কোনো ফল পাচ্ছে না কৃষক। এ জন্য দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষক। এতে আমন ফলন নিয়ে বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ধানগাছের গোড়া থেকে থোড় বের হয়েছে। এ সময় এ পোকা দেখা দেয়। কিন্তু এবার সকাল ও সন্ধ্যা শীত আবহাওয়া বিরাজ করার ফলে পোকার আক্রমণ কিছুটা বেশি হচ্ছে বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ ।
এদিকে কৃষকের এ অবস্থাকে পুঁজি করে জেলার বাজারে ছেয়ে গেছে ভেজাল কীটনাশকের। এর ফলে কৃষক চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
কৃষি বিভাগ বলছে, ধানের চেহারা ভালো ছিল। মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় জেলার ১১ উপজেলায় ২ লাখ ৫ হাজার ৭৭৪ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে।
এ অঞ্চলের কৃষকের অভিযোগ, কৃষি উপকরণের দাম বেড়েছে কয়েক গুণ। প্রতিবিঘা জমি চাষ করতে খরচ হয়েছে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। হঠাৎ কারেন্ট পোকা ও খোলপচা রোগে যে ক্ষতি হচ্ছে এতে শেষ পর্যন্ত ঘরে ধান তুলতে পারবে কিনা সে শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন কৃষক।
সরজমিনে দেখা গেছে, জেলার ধামইরহাট, মহাদেবপুর, নিয়ামতপুর, পোরশা, সাপাহার ও বদলগাছী উপজেলায় বেশি দেখা যাচ্ছে এ রোগ।
ধামইরহাট ইউনিয়নের পিড়লডাঙ্গা, কালুপাড়া, মইশড়, জাহানপুর, ইউনিয়নের কোকিল, জাহানপুর, নিকেশ্বর, মহাদেবপুর উপজেলার আলীপুর, ঈশ্বরপুর, উত্তরগ্রামসহ, জেলায় ব্যাপক হারে কারেন্ট পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে।
কৃষক রমজান আলী, পানজুর রহমান, মাসুদ রানা জানান, মাঠে ব্যাপক হারে কারেন্ট ও খোলপচা পোকা দেখা দিয়েছে। কীটনাশক স্প্রে করেও কোনো ফল হচ্ছে না।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সত্যব্রত সাহা জানান, বর্তমান মৌসুমে ভর্তুকির আওতায় সার ও কীটনাশক প্রদানের জন্য সব ইউনিয়নের সুবিধাভোগীদের মধ্যে সুষ্ঠুভাবে সার-বীজ বিতরণ করা হয়েছে। কৃষিতে আধুনিক পদ্ধতিতে সুষম সার প্রয়োগের জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য সব ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।