সকল মেনু

লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা জাহাঙ্গীরকে ধরিয়ে দিলে

 টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মা-মেয়েসহ তিনজনকে পুড়িয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি জাহাঙ্গীর হোসেন (২৫) কে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য এক লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান। শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এই ঘোষণা দেন।  ডিআইজি বলেন, ‘ঘটনার পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জাহাঙ্গীর ও এর সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালাচ্ছে। আমরা এই ঘটনাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। এই হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত, তারা যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পায় তার জন্য আমরা সব ব্যাবস্থা গ্রহণ করব। শুধু তাই নয়, জাহাঙ্গীরকে যারা আশ্রয় দেবে তাদেরও আমরা আইনের আওতায় আনব।’ মামলার প্রধান আসামি জাহাঙ্গীর দেশের বাইরে পালিয়েছেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জাহাঙ্গীরের পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে। তাই দেশের বাইরে যাওয়া তার পক্ষে সহজ হবে না। তারপরও এই ব্যাপারে আমরা তৎপর রয়েছি। এ ছাড়া গতকাল রাতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থেকে জাহাঙ্গীরের চাচা মামলার এজাহারভুক্ত ৪নং আসামি বাহারউদ্দিন কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।’ নুরুজ্জামান আরো বলেন, ‘চাঞ্চল্যকর এই মামলাটি সম্ভব হলে দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে নিয়ে আমরা দোষীদের শাস্তির ব্যাবস্থা করব। এই হত্যাকাণ্ড দেশের মানুষের মনে আঘাত দিয়েছে।’ আলোচিত এই হত্যা মামলার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী প্রতিনিয়ত খোঁজ নিচ্ছেন বলেও জানালেন ডিআইজি।

পরে ডিআইজি নুরুজ্জামান নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে তাদের বাড়িতে যান। এ সময় জেলা পুলিশ সুপার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর তার সঙ্গে ছিলেন।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ভোর রাতে মির্জাপুর উপজেলার গোড়াইল ইউনিয়নের দক্ষিণ সোহাগপাড়া গ্রামের মালয়শিয়া প্রবাসী মজিবুর রহমানের স্ত্রী হাসনা বেগম (৩০), তার তিন মেয়ে গোরাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের  নবম শ্রেণির ছাত্রী মরিয়ম বেগম মনিরা (১৪), নয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী মলি (৮) ও বাক প্রতিবন্ধী মিম (৬) দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে পুড়ে মারা যায়।

স্থানীয় বখাটে সিঙ্গাপুর ফেরত জাহাঙ্গীরের কু-প্রস্তাবে হাসনা বেগমের বড় মেয়ে মরিয়ম রাজী না হওয়াতেই ঈদুল আজহার রাতে ঘরে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে তাদের হত্যা করে।

পরে মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১টার দিকে হাসনা বেগমের ভাই ও মনিরাদের মামা মো. মোফাজ্জ্বল হোসেন বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় জাহাঙ্গীর আলমকে প্রধান করে ১০ জনকে আসামি করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top