সকল মেনু

এগ্রো-বাংলাদেশ এক্সপো-২০১৪ রাজধানীতে শুরু হলো

 নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘আগামী দিনের কৃষিতে উন্নতি আধুনিক প্রযুক্তি’ এ স্লোগান নিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে রাজধানীতে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী (১১-১৩ সেপ্টেম্বর) চতুর্থ ‘এগ্রো-বাংলাদেশ এক্সপো ২০১৪।’ বৃহস্পতিবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এ মেলার উদ্বোধন করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ১৯৭২-৭৩ সালে ২৫টি পণ্য রপ্তানি করে ৩১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় হতো। এর এখন ৭০০ থেকে ৮০০টি পণ্য রপ্তানি করে ৩০.২ বিলিয়ন ডলার আয় করা হচ্ছে এবং আগামী ৫ বছরের মধ্যে এটা ৪০ বিলিয়ন ডলার ছারিয়ে যাবে বলে আশা করি।

সার উৎপাদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি সরকারের আমলে দেশে সারের সংকট ছিল।এখন উৎপাদন এবং বিতরণে কোনো সংকট নেই। সব দিক দিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সমালোচকরা বিভিন্নভাবে এই সব অগ্রগতিকে পিছিয়ে নিয়ে জাওয়ার চেষ্টা করছে কিন্তু তার পরও আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে যারা অপ্রচলিত কৃষি পণ্য রপ্তানি করবে তাদেরকে সরকারের পক্ষ থেকে নগদ সহায়তা করা হবে।

তিনি আরো বলেন, রাশিয়া আমাদের কথা দিয়েছে তারা আমাদের দেশ থেকে প্রতিবছর এক লাখ মেট্রিকটন আলু আমদানি করবে।

বিশেষ অথিতির বক্তব্যে মতিয়া চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক দিক দিয়ে এগিয়ে নেওয়ার বড় অবদান হল কৃষি শিল্প। কিন্তু আমাদের দেশের কৃষি জমির পরিমাণ দিন দিন কমে যাচ্ছে। আমরা যদি আমাদের চাহিদা মত ফসল ফলাতে না পারি তাহলে আমাদের দেশের জন্য এটা অনেক বড় খতির কারন হয়ে দাঁড়াবে। তাই আমদের দেশের ও নিজের সার্থে এই জমি টিকিয়ে রাখতে হবে।

তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতায় আমরা কৃষিকে সামনে রেখে শতাব্দীর সব বড় বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।

মেলায় দেশি-বিদেশি ২২৫টি স্টল থাকবে। এ ছাড়া প্রতিদিন ছয়টি টেকনিক্যাল সেশন অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১১ টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে মেলা।

‘এগ্রো-বাংলাদেশ এক্সপো ২০১৪’ মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ফসলের গুণগতমান বৃদ্ধিসহ খাদ্য ও শস্যের প্রক্রিয়াজাতকরণ (প্রি এন্ড পোস্ট হার্ভেস্ট) টেকনোলজি এবং কৃষির আধুনিক যন্ত্রপাতি প্রদর্শণের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তাদের কৃষি ক্ষেত্রে অর্থ বিনিয়োগের উৎসাহিত করা যাবে।

অতিরিক্ত সচিব আনোয়ার ফারুক বলেন, মেলায় তিনিটি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে- বীজ, পেস্টিসাইড এবং কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদর্শণ; ফুডপ্রো বাংলাদেশ : প্রক্রিয়াজাতকরণ যন্ত্রপাতি, শস্য সংগ্রহত্তোর প্রযুক্তি, ভ্যালুচেইন ডেভেলপমেন্ট, প্যাকেজিং ও বিপণন বিষয়; এবং রাইচ অ্যান্ড গ্রিনটিচ এক্সপো : রাইচ-মিল যন্ত্রপাতি প্রদর্শণ।

মেলায় পাশ্ববর্তী নয়টি দেশ ভারত, চীন, জাপান, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, কোরিয়া এবং জার্মানিসহ দেশি-বিদেশি প্রায় শাতধিক সরকারি ও বেসরকা প্রতিষ্ঠানের এক হাজার বিজ্ঞানী, গবেষক ও ব্যবসায়ী অংশগ্রহণ করেছে। এতে করে এই অঞ্চলের সরকারি ও বেসরকারি কৃষি ক্ষেত্রের বিজ্ঞানী ও শিল্প উদ্যোক্তাদের জ্ঞানের আদান-প্রদান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

অতিরিক্ত সচিব বলেন, গত ৫ বছরে ধানের উৎপাদন বেড়েছে। ১৯৯৭১ সালে যেখানে খাদ্য উৎপাদন হতো ১ কোটি টন। সেখান থেকে বর্তমানে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টন খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে প্রতি বছর।

তিনি বলেন, দেশে আলুর উৎপাদন বেড়েছে। গত মৌসুমে ১ লাখ ১৬ হাজার টন আলু রপ্তুানি করা হয়।এর মধ্যে রাশিয়াতে সর্বোচ্চ ২২ হাজার টন আলু রপ্তানি হয়েছে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. এস এম নাজমুল ইসলামের সভাপতিত্তে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ সীড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম আনিস উদ-দউলা, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আনোয়ার ফারুক, বাংলাদেশ অটো মেজর ও হাসকিং মিল মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুর রশিদসহ আরো অনেকে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top