সকল মেনু

সম্প্রচার মাধ্যমের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব

 অাছাদুজ্জামান,সংসদ অধিবেশন থেকে: খসড়া সম্প্রচার নীতিমালা সবার মতামতের ভিত্তিতেই করা হয়েছে বলে সংসদকে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ নীতিমালা করার জন্য ২০১২ সালের ১ নভেম্বর ১৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, এনজিও প্রতিনিধি, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, প্রাথমিক খসড়া নীতিমালা তৈরির জন্য কমিটি একটি উপকমিটি গঠন করে। তারা বিবিসিসহ পাশ্ববর্তী দেশগুলোর নীতিমালা পর্যালোচনা করেই প্রাথমিক খসড়া প্রণয়ন করে।

তাছাড়া সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, আইন দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বিধিনিষেধ সাপেক্ষে সব নাগরিকের চিন্তা ও বিবেক, বাক এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদানের কথা বলা হয়েছে। এছাড়া “সম্প্রচার মাধ্যমগুলোর সামাজিক দায়বদ্ধতা নিশ্চিতকরণে সরকারেরও দায়িত্ব রয়েছে” বলেন প্রধানমন্ত্রী।

বুধবার বিকেলে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে কুমিল্লা-৮ আসনের সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম মিলনের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা ছাড়া গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সম্প্রচার কার্যক্রমের স্বাধীনতা, বহুমুখীতা, দায়বদ্ধতা এবং দায়িত্বশীলতা নিশ্চিত করা যায় না। এ জন্যই নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। খসড়া নীতিমালা প্রণয়ন করে সর্বসাধারণের মতামত আহ্বানের জন্য ২১ দিন পর্যন্ত তথ্যমন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে রাখা হয়।

এরপর গত ১২ জুন তথ্যমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় নীতিমালার খসড়া পর্যালোচনা করে কিছু পর্যবেক্ষণসহ নীতিমালাটি অনুমোদনের সুপারিশ করে কমিটি। এরই ভিত্তিতে প্রস্তুতকৃত সম্প্রচার নীতিমালা খসড়া গত ৪ আগস্ট মন্ত্রীসভার বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়।

সম্প্রচার নীতিমালা নিয়ে সমালোচকদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমালোচকরা যেসব প্রশ্ন উত্থাপন করছেন, সেসব প্রশ্ন নীতিমালার খসড়া চূড়ান্ত করার সময় উত্থাপন করা হয়নি। ২১ দিন ওয়েবসাইটে থাকলো তখনও তারা মতামত দেননি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনসাধারণ ও সম্প্রচার মাধ্যমের কল্যাণের জন্যই নীতিমালা প্রণয়ন করেছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় একটি স্বাধীন সম্প্রচার কমিশন গঠনের জন্য আইন প্রণয়নের কাজ চলছে।

নীতিমালায় কোনো অসঙ্গিত থাকলে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে তা পূর্ণতা পাবে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ বিষয়ে পরামর্শ দেওয়ার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সংবাদপত্র এবং গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। এ নীতিমালা জারি করা হলে গণমাধ্যম আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top