সকল মেনু

পল্লবী থানার ওসিসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা জনি হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ

  আদালত প্রতিবেদক: পুলিশি হেফাজতে জনিকে নির্যাতন ও মৃত্যুর অভিযোগ এনে পল্লবী থানার ওসি জিয়াউর রহমান, ব্যবসায়ী সুজন হত্যা মামলার প্রধান আসামি এসআই জাহিদসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। নিহত জনির ছোট ভাই ইমতিয়াজ হোসেন রকি ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে এ মামলা করেন। পরে বিচারক মো. জহুরুল হক এ মামলার বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলার আসামিরা হলেন,পল্লবী থানার এসআই আব্দুল বাতেন, রাশেদ, শোভন কুমার সাহা, কনস্টেবল নজরুল, পুলিশের সোর্স সুমন ও রাসেল। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৮ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে পল্লবী থানার ইরানি ক্যাম্পে জনৈক বিল্লালের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান ছিল। নিহত জনি, তার ভাই মামলার বাদী রকিসহ অন্যান্য সাক্ষীরা সে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। রাত ২টার দিকে পুলিশের সোর্স এ মামলার ৭ নম্বর আসামি সুমন মদ খেয়ে স্টেজে উঠে মেয়েদের উত্যক্ত করছিলেন। জনি তাকে প্রথমে স্টেজ থেকে নামিয়ে দেন। কিন্তু দ্বিতীয়বার সুমন একই কাজ করলে সুমনের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জনি সুমনকে একটি থাপ্পর মারেন। থাপ্পর খেয়ে সুমন জনিকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে যান। এর আধা ঘণ্টা পর সোর্স সুমন এসআই জাহিদসহ ২৫/২৬ জন পুলিশ ও তার লোকজন নিয়ে এসে বিয়ে বাড়িতে চড়াও হন। তারা সেখানে ভাংচুর করেন। নিহত জনি, রকিসহ বেশ কয়েকজনকে ধরে নিয়ে যান। এরপর এসআই জাহিদসহ অপর আসামিরা তাদের পল্লবী থানা হাজতে হকিস্টিক ও ক্রিকেটের স্ট্যাম্প দিয়ে বেদম প্রহার করেন। জাহিদ জনির বুকের ওপর চড়ে লাফালাফি করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, জনি এ সময় একটু পানি খেতে চাইলে জাহিদ তার মুখে থুথু নিক্ষেপ করে তা খেতে বলেন। আসামিদের নির্যাতনে মামলার বাদী রকি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তার বড় ভাই জনিকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরহ ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।  পুলিশি নির্যাতনে মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দিতে তারা পল্লবী থানার ইরানি ক্যাম্প ও রহমত ক্যাম্পের মধ্যে মারামারির মিথ্যা কাহিনী তৈরি করেন। সেখানে রকিসহ কয়েকজনকে গুরুতর আহত ও তার ভাই জনিকে মারামারিতে নিহত দেখানো হয়। এমন ঘটনা সাজিয়ে পল্লবী থানার এসআই শোভন কুমার সাহা পল্লবী থানার একটি মামলা দায়ের করেন। ওসি জিয়াউর রহমান তা এজাহার হিসাবে গ্রহণ করে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top