সকল মেনু

নানামূখি সমস্যা ও দূর্নিতীতে জর্জরিত বেলাব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

 বেলাব(নরসিংদী) প্রতিনিধি: নানামূখি সমস্যায় জর্জরিত হয়ে বেলাব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের যাবতীয় চিকিৎসা সংক্রান্ত কার্যক্রম চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। ফলে এখানকার চিকিৎসা সেবা দারুন ভাবে ব্যহত হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে সঠিক জনবল না থাকা, প্রসূতি ও গাইনী সুবিধা না থাকা,প্যাথলজিষ্ট সহ বিভিন্ন রোগ নির্নয়ক যন্ত্র অচল থাকা, হাসপাতালের অধিকাংশ ডাক্তারদের কর্মস্থলে নিয়মিত ভাবে না আসা সহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে এ হাসপাতালের বিরুদ্ধে। আর এ কারনে বেলাব ও পাশ্ববর্তী এলাকার প্রায় ৫ লক্ষাধিক লোকের চিকিৎসা সেবা না পেয়ে নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে বিভিন্ন বেসরকারী হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালটি ৩১ শষ্যা চালু থাকা সত্ত্বেও এখানে নেই কোন অপারেশন থিয়েটার, যার কারনে গাইনী ও প্রসূতি (ই,ও,সি) সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সহস্রাধিক জনগন। এছাড়াও দীর্ঘদিন যাবৎ হাসপাতালটির এক্সরে মেশিন,আলট্রাসনোগাফী মেশিন,ই,সি,জি মেশিন অচল অবস্থায় পড়ে আছে। অথচ এসকল বিভাগের কর্মরত কর্মচারীরা বসে বসে বেতন নিচ্ছে। প্যাথলজিতে ২ জন টেকনোলিষ্ট থাকা সত্ত্বেও যন্ত্রপাতী ও রি-এজেন্টের অভাবে সব পরীক্ষা করা হয়না। শুধুমাত্র সিভিসি,ষ্টুল আরই,ইউরিন আর ই ও কফ পরীক্ষা ব্যথিত আর কোন পরীক্ষাই এখানে হয়না। বিশ্বস্থ সূত্রে জানা গেছে,প্যাথলজিষ্ট মোঃ জাকির হোসেনের নিজস্ব রি-এজেন্ট দিয়ে নিয়ম বহিভূত ভাবে অপরিস্কার একটি রুমে পরীক্ষার নামে রোগীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। এছাড়াও এখানে অফিস পিয়ন,নাইট গার্ড,আয়া সহ বিভিন্ন পোষ্ট খালী রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। হাসপাতালের একমাএ এ্যাম্বুলেন্সটিও বর্তমানে বিকল। রোগীদের অভিযোগ হাসপাতালের পক্ষ থেকে তাদের খাবার দেয়া হয় নিম্নমানের। সরেজমিনে অফিস সময় বেলাব ২ টায় উক্ত হাসপাতালে আউট ডোরে গিয়ে দেখা যায়, ৮ জন ডাক্তারের স্থলে উপস্থিত আছেন মাত্র এক জন ডাক্তার। তাও আবার পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। ইমাজেন্সিতে রোগীদের জরুরী সেবা প্রদান করছেন মেডিক্যাল এ্যাসেসষ্ট্যান্টগন। এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে, ইমাজেন্সিতে প্রায়ই রোগীর জরুরী চিকিৎসা দিয়ে থাকেন,হাসপাতালে কর্মরত ওয়ার্ড বয় সহ নিম্ন শ্রেনীর কর্মচারীরা। ইনডোরে গিয়ে কোন ডাক্তারকে পাওয়া যায়নি এখানে শুধুমাত্র নার্সগন রোগীদের সেবা প্রদান করে থাকেন । প্যাথলজি রুম,টয়লেট,ষ্টোর রুম ময়লা আর্বজনায় ভরপুর। দেখলে মনে হয় পরিস্কারের ছোয়া লাগেনী কয়েক বছর ধরে। উক্ত হাসপাতালে প্রতিমা রাণী বিশ্বাস নামে একজন মাত্র গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রয়েছে। তিনি সপ্তাহে দুইদিন ঢাকা থেকে এসে অল্প সময়ের জন্য হাসপাতালে থেকে চলে যায়। বিশ্বস্থ সূত্রে জানা গেছে,তিনি উক্ত হাসপাতালে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েও নিয়ম বহিভূত ভাবে ঢাকার পুপুলার হাসপাতালে গাইনী কনসালন্টেন হিসেবে নিয়োগ পেয়ে নিয়মিত রোগী দেখেন। এ কারনে তিনি নিজ কর্মস্থলে সময় দিতে পারেন না। এ ব্যাপারে মোবাইলে ডাঃ প্রতিমা রাণী বিশ্বাসের সাথে কথা হলে তিনি ঢাকার পুপুলারে রোগী দেখার কথা স্বীকার করে বলেন, বেলাবতে আমার কাজ করার মতো প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি,ওটি.এ্যানেসথিসিয়া নাই। সেখানে শুধু আউট ডোরে রোগী দেখা ছাড়া আমার আর কোন কাজ নেই।  এছাড়াও নিয়োগ প্রাপ্ত অধিকাংশ ডাক্তার কর্মস্থলে থাকার নিয়ম থাকলেও ঢাকা থেকে এসে অনিয়মিত ভাবে ডিউটি করেন এবং প্রাইভেট হাসপাতাল সহ বিভিন্ন ফার্মেসিতে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেন। এ ব্যাপারে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রদ্বিপ কুমার দে বলেন,অচিরেই হাসপাতালটির যাবতীয় সমস্যা সমাধান করা হবে । আমি সবেমাত্র জয়েন্ট করলাম এবং ই,এম.ও পোষ্ট না থাকার কারনে জনগন জরুরী সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে আমি মনে করি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top