সকল মেনু

কম খরচে ৮৫ শতাংশ বেশি ধান

 আরিফুল ইসলাম, বাকৃবি : অধিক রাসায়নিক সার প্রয়োগ, আগাছানাশক এবং ফসল সংগ্রহে শ্রমিকের অপ্রাপ্যতা এবং অধিক শ্রম মূল্যের কারণে এখন ধান চাষ করে লাভবান হচ্ছেন না কৃষকরা। এছাড়া স্বল্প খরচে অধিক ধান উৎপাদনে কৃষকদের বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞান না থাকায় উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে দিন দিন কৃষকরা ধান উৎপাদনে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। কৃষকদের এ সব সমস্যা সমাধানে সিনজেনটা বাংলাদেশ লিমিটেড ধান চাষের নতুন কৃষি প্রযুক্তি টেগরা উদ্ভাবন করেছে। এ কৃষি সার্ভিস থেকে কৃষকরা স্বাস্থ্য সম্মত চারা, চারা রোপণ, আগাছানাশক ও রাসায়নিক সারের ব্যবস্থাপনা এবং কৃষিতত্ত্ব সম্পর্কিত পরামর্শ পাবেন।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) টেগরা প্রযুক্তির মাধ্যমে ধান চাষের গবেষণামূলক প্রকল্পের ফসল আহরণ করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে বোরো মৌসুমে ‘কৃষক পদ্ধতির’ তুলনায় টেগরাতে ৮৫ শতাংশ ফলন বেশি হয়েছে। বর্তমানে বগুড়া, জয়পুরহাট, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, ঝিনাইদহ, মাগুরা এবং ময়মনসিংহের বয়ড়ায় টেগরা পদ্ধতিতে ধান চাষের মাঠ পর্যায়ে গবেষণা চলছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের মাঠ গবেষণাগারে কৃষিতত্ত্ব বিভাগ ও সিনজেনটা বাংলাদেশ লিমিটেডের যৌথ আয়োজনে টেগরা প্রযুক্তির মাধ্যমে ধান চাষের গবেষণামূলক প্রকল্পের ফসল কাটা হয়েছে। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে টেগরা পদ্ধতিতে ধান চাষের উপযোগিতা সম্পর্কে জানান বাকৃবির কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুল কাদের। এ সময় কৃষিতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক, সিনজেনটার প্রধান টেগরা গবেষক ড. এ বি. এম জিয়াউর রহমান, টেগরা গবেষণা ও উন্নয়ন ব্যবস্থাপক জসিম উদ্দীন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় ড. কাদের বলেন, ‘টেগরা হল একটি কৃষি সার্ভিস। এ সার্ভিসের মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক উপায়ে ধানের বীজতলা প্রস্তুত, যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চারা রোপণ, আগাছানাশক ও রাসায়নিক সারের ব্যবস্থাপনা এবং কৃষিতত্ত্ব সম্পর্কিত পরামর্শ পাবেন। ধানের চাষের প্রচলিত পদ্ধতির তুলনায় টেগরা পদ্ধতিতে আমন মৌসুমে প্রায় ১৮ শতাংশ এবং বোরো মৌসুমে প্রায় ৮৫ শতাংশ বেশি ফলন পাওয়া যায়। এছাড়া কম সময়ে অধিক ফলন পাওয়া যায়। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ধান উৎপাদনকারী খামারিরা এ পদ্ধতিতে অধিক লাভবান হতে পারেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top