জেলা প্রতিবেদক,কক্সবাজার, ২৬ এপ্রিল : বঙ্গোপসাগরের সেন্টমার্টিন উপকূলে কোস্টগার্ডের সঙ্গে মাদক ব্যবসায়ীদের বন্দুকযুদ্ধে তিন মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- আমিন, কালু ও জহির।
এ ঘটনায় আবদুল আল ফয়সাল ও সামাদ নামে দুই কোস্টগার্ড সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার ভোরে বঙ্গোপসাগরের সেন্টমার্টিন ও টেকনাফের মাঝামাঝি স্থানে এ ঘটনা ঘটেছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তোফায়েল আহমদ হটনিউজ২৪বিডি.কমকে জানান, বঙ্গোপসাগরের সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ উপকূলে কোস্টগার্ডের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তিন জন মারা গেছেন।
সেন্টমার্টিন কোস্টগার্ডের কমান্ডিং অফিসার লে. শহিদ আল আহসান হটনিউজ২৪বিডি.কমকে জানান, শুক্রবার ভোরে বঙ্গোপসাগরের সেন্টমার্টিন ও টেকনাফের মাঝামাঝি স্থানে একটি মাছ ধরার ট্রলারকে সন্দেহ হলে তারা চ্যালেঞ্জ করে। এ সময় ওই ট্রলারটি তল্লাশি চালাতে চাইলে কোস্টগার্ডকে লক্ষ্য করে ট্রলারটি থেকে গুলি করা হয়। এতে কোস্টগার্ডের দুই সদস্য গুরুতর আহত হন। তবে তারা ওই মাছ ধরার ট্রলারটি আটক করতে পারেনি।
টেকনাফ কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার লে. কাজী হারুন-অর-রশিদ হটনিউজ২৪বিডি.কমকে জানান, গুলি ছোড়ার পর ট্রলারটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলে যায়। ফলে ট্রলারটি আটক করা যায়নি।
এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় কক্সবাজার শহরের মাঝির ঘাট এলাকায় একটি ট্রলারে করে ৩টি মৃতদেহ এবং গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ব্যক্তিকে পুলিশ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।
গুলিবিদ্ধ মাঝি মো. হোসেন হটনিউজ২৪বিডি.কমকে জানান, গত ১৭ এপ্রিল এফবি হামিদা ট্রলার নিয়ে কক্সবাজার শহরে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যায় ১০ মাঝিমাল্লা। মাছ ধরতে ধরতে এক পর্যায়ে সেন্টমার্টিন উপকূলে পৌঁছে তারা। তবে শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে একদল জলদস্যু তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে ৩ জেলে ট্রলারে মারা যায়। অন্যান্য জেলেরা জীবন বাঁচাতে সাগরে লাফিয়ে পড়ে।
কক্সবাজার মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. সাইফুল হটনিউজ২৪বিডি.কমকে জানান, বঙ্গোপসাগরে কি ঘটনা ঘটেছে তা এখনো জানা যায়নি। তবে ৩টি লাশ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।