সকল মেনু

তারেক রহমানের কটূক্তির জবাব দিলেন-রধানমন্ত্রী

 সংসদ প্রতিবেদক, ঢাকা, ১০ এপ্রিল : ১৯৭২ সালে জারি করা রাষ্ট্রপতির অস্থায়ী সংবিধান আদেশ ও সরকারি গেজেট  বিজ্ঞপ্তি উপস্থাপন করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কটূক্তি ও বিতর্কের জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সংসদের সমাপনি ভাষণে তিনি  এ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য প্রমাণ তার বক্তব্যের মাধ্যমে তুলে ধরেন।

স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, এসব আমার বক্তব্যের সঙ্গে যুক্ত হবে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম কেবিনেট সচিব এইচ টি ইমামের গ্রন্থ থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে ১৯৭২ সালের সরকার গঠন প্রক্রিয়া ও রাষ্ট্রপতি থেকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের ইতিহাস সংসদে তুলে ধরেন।

প্রধানমন্ত্রী সংসদকে জানান, রাষ্ট্রপতির অস্থায়ী সংবিধান আদেশে বলা হয় ১৯৭০ সালে নির্বাচিত গণপরিষদ সদস্যরা স্বাধীন বাংলাদেশের গণপরিষদ সদস্য হিসেবে বিবেচিত হবেন। এই গণপরিষদ কর্তৃক প্রণীত সংবিধান প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত এই আদেশ বলে দেশ পরিচালিত হবে।

রাষ্ট্রপতির অস্থায়ী সংবিধান আদেশের ৮ ধারা বলে এ সময় আবু সাঈদ চৌধুরী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর রাষ্ট্রপতির অস্থায়ী সংবিধান আদেশের ৭ ধারা বলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করা হয়। ১২ জানুয়ারি অপরাহ্ন বঙ্গবন্ধু ও তার মন্ত্রিপরিষদ শপথ গ্রহণ করে ও সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করে। এভাবেই  স্বাধীন বাংলাদেশে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারের অবসান এবং বাংলাদেশের প্রথম সংসদীয় গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদেশিরা বেশি বেশি অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাচ্ছে। বিরোধী দল কি তা তারা জানেনা। বিরোধী দল মানে  ভোটে নির্বাচিত  সংসদ সদস্যদের একটি দল। যারা নির্বাচন করবেন না তারা কখনো বিরোধী দল হতে পারেন না। তারা হয়তো একটি রাজনৈতিক দল হতে পারে।

বিরোধী দল মানে শুধু ভাতা নেবে, সরকারি টাকায় বিদেশ ভ্রমন করবে, কমিটি থেকে টাকা নেবে, গাড়ি নেবে , সব সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করবে অথচ সংসদে আসবেন না, দেশের মানুষের স্বার্থে কথা বলবে না। এটা হতে পারে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নবম সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা মাত্র ১০ দিন সংসদে এসেছেন। এই সময়ে তিনি বক্তব্য রেখেছেন  সাড়ে ৭ ঘণ্টা। মনের ঝাল মিটিয়ে কথা বলে তিনি চলে গেছেন। যখন আবার সদস্য পদ যায় যায় তখন আবার একদিন এসে সংসদ সদস্য পদ রক্ষা করে চলে গেছেন। এটা কোনো বিরোধী দলের কাজ হতে পারে না।

দশম সংসদের বিরোধী দলকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান বিরোধী দল প্রতিটি দিন সংসদে থেকেছেন। বিরোধী দলীয় নেতা সংসদে থেকে কথা বলেছেন। এটা খুবই ইতিবাচক। বিরোধী দল সংসদে থেকে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের সমর্থন করবে এবং সরকারের সমস্যা থাকলে বিরোধীতা করবে এমন হওয়া উচিৎ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নারী, বিরোধী দলীয় নেতা নারী এবং স্পিকার নারী এটা পৃথিবীতে বিরল দৃষ্টান্ত।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে সাবেক বিরোধী দলের সহিংস রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সমালোচনা এবং বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিস্তারিত বর্ণনা দেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top