সকল মেনু

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস আজ

স্বাস্থ্য প্রতিবেদক, ৭ এপ্রিল (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য ‘মশা-মাছি দূরে রাখি:  রোগ বালাই মুক্ত থাকি।’ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে প্রতিবছর ৭ এপ্রিল বিশ্বব্যাপী যথাযথ আয়োজনে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালিত হয়।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত  বাংলাদেশেও বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ২০১৪ উদযাপন উপলক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

এবছর জাতীয় পর্যায়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে বান্দরবন জেলা সদরে। বান্দরবানের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বেলা ১১টায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম আনুষ্ঠানিকভাবে  বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের উদ্বোধন করবেন। অন্যান্য জেলা ও উপজেলা সদরেও বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, সেমিনার, স্যুভেনির প্রকাশ, স্বাস্থ্য-শিক্ষা প্রদর্শনী, বাহক-বাহিত রোগ বিষয়ক রচনা প্রতিযোগিতা, পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ, সড়কদ্বীপ সজ্জিতকরণ, চলচিত্র প্রদর্শণী, জারিগান, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে বাহক-বাহিত রোগ-ব্যাধিজনিত স্বাস্থ্য সমস্যার উপর আলোচনা অনুষ্ঠানসহ অন্যান্য কার্যক্রম অন্তর্ভূক্ত রয়েছে।

উষ্ণমন্ডলীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশে নানা ধরনের বাহক বাহিত রোগ বিরাজ করে আসছে। কখনো কখনো এই রোগসমূহ মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে বিপুল সংখ্যক লোকের মধ্যে সংক্রামিত হয়েছে এবং মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নানাবিধ কার্যক্রম গ্রহণের ফলে এই রোগগুলোর কোন কোনটি নিয়ন্ত্রণ হয়েছে অথবা নির্মূলের পর্যায়ে গেছে। বিশেষতঃ গত কয়েক বছরে বাহক বাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে দেশে বিশেষ অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এনোফিলিস মশা বাহিত ম্যালেরিয়া রোগ বর্তমানে দেশের ১৩টি জেলায় বিরাজ করছে। বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, সিলেট, মৌলভিবাজার, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, শেরপুর ও কুড়িগ্রাম। এর মধ্যে তিনটি জেলার মানুষ বেশি আক্রান্ত । বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি অধিক প্রবণ, কক্সবাজার মধ্য প্রবণ এবং বাকি জেলাগুলোতে ম্যালেরিয়া স্বল্প প্রবণ হিসেবে বিরাজ করছে।

গত ২ এপ্রিল এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মোহাম্মদ নাসিম বলেন, দ্রুত রোগ সনাক্তকরণ, কার্যকর ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা এবং ব্যাপক হারে কীটনাশকযুক্ত মশারী ব্যবহারের ফলে ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা দুটোই উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসছে। ২০০৮ সালে ৮৩ হাজার ম্যালেরিয়া রোগী ছিল। ২০১৩ সালে তা ৭০ শতাংশ কমে ২৬ হাজারে এসেছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, দেশে ক্রমবর্ধমান নগরায়নের সাথে এডিস মশার বংশ বিস্তার ও ডেঙ্গু রোগ সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। জনগণকে সম্পৃক্ত করে এডিস মশার বংশ বিস্তার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে কেবল এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

তিনি বলেন, বেলে মাছি বাহিত কালাজ্বর একটি মারাত্মক রোগ। দ্রুত রোগ সনাক্ত করণ, কার্যকর ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা ও কীটনাশকের ব্যবহারে বেলে মাছি নিয়ন্ত্রণের ফলে দেশে কালাজ্বর নির্মূলের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। ২০১৩ সালে কালাজ্বরের রোগীর সংখ্যা কমে দেড় হাজারে নেমে এসেছে। রোগীর সংখ্যার দিক হতে ৯০ ভাগ কমার পাশাপাশি আক্রান্ত উপজেলার সংখ্যাও ৯০ ভাগ কমেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top