সকল মেনু

অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল সাবান আসলেই আপনার কোনো উপকার করছে কি?

স্বাস্থ্য প্রতিবেদক, ৬ এপ্রিল (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : আমাদের দৈনন্দিন স্বাস্থ্যরক্ষার একটি সাধারণ অনুষঙ্গ হলো অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল সাবান। হাত জীবাণুমুক্ত রাখতে অনেকেই বাড়িতে রাখেন এসব সাবান। কিন্তু জানেন কি, বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রেই এই সাবান তেমন একটা কাজে লাগে না। এর কারন হলো, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল সাবান যেভাবে ব্যবহার করার কথা আমরা বেশিরভাগ সময়েই সেভাবে ব্যবহার করি না।

বিগত দুই দশকের মত সময়ে সাবান, ডিটারজেন্ট, টুথপেস্ট এসব পণ্যের মাঝে ট্রাইক্লোসান এবং ট্রাইক্লোকার্বন নামের দুইটি জীবাণুমুক্তকারি পদার্থের ব্যবহার অনেক বেশি পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পণ্যগুলো মানুষ ব্যবহার করছেনও অনেক বেশি পরিমাণে আর তাই নিয়মিত আসছেন এসব রাসায়নিকের সংস্পর্শে। হাসপাতালের মত জায়গায় বিভিন্ন জীবাণু মেরে ফেলার ক্ষেত্রে বেশ কার্যকর হলো এই রাসায়নিক। এ ছাড়াও টুথপেস্টে ট্রাইক্লোসান থাকলে মাড়ির রোগ জিঞ্জিভাইটিস প্রতিরোধ করা সহজ হয়। কিন্তু সাধারণ সাবানের বদলে এই অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহারে কি বেশি উপকারিতা পাওয়া যায়? না, যে উপকারিতা পাওয়া যায় তা খুব বেশি নয়। এর একটি কারন হলো আমাদের নিজেদেরই অসচেতনতা।

হাতে থাকা রোগ-জীবাণু দূর করার জন্য এসব সাবান দিয়ে আমাদের ২০-৩০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়া দরকার। কিন্তু বিভিন্ন জরিপে দেখা যায়, মানুষ গরে মাত্র ছয় সেকেন্ড সময় ধরে সাবান ব্যবহার করে। শুধু তাই নয়, অনেকদিন ধরে এসব সাবান ব্যবহার করলে জীবাণুগুলো এসব রাসায়নিকে অভ্যস্ত হয়ে যায়। তখন আর সহজে তাদেরকে মেরে ফেলা যায় না। শুধু তাই নয়, এসব সাবানে ব্যবহৃত রাসায়নিক আমাদের শরীরের হরমোনের ওপর রাখতে পারে প্রভাব। শরীরে এন্ডোক্রাইন হরমোনের স্বাভাবিক কার্যকলাপে বাধা দিতে সক্ষম এসব রাসায়নিক। এসব কারনে দেখা যায়, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার করে আমরা আসলে খুব একটা বেশি উপকারিতা পাচ্ছি না। বরং একদিক দিয়ে আমাদের ক্ষতিই হচ্ছে বলা যায়।

অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল সাবানে ব্যবহৃত এসব প্রভাবশালী রাসায়নিকের ব্যবহার সীমিত করাটা খুবই জরুরি। যতক্ষণ না পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যাবে যে এসব রাসায়নিক পদার্থ আসলেই নিরাপদ এবং কার্যকরী, ততক্ষণ পর্যন্ত মানুষের দৈনন্দিন ব্যবহার্য পণ্য যেমন সাবানের মাঝে এগুলোর ব্যবহার করাটা উচিত নয়। স্বাস্থ্যঝুকি এড়াতে ট্রাইক্লোসান এবং ট্রাইক্লোকার্বন আছে এমন পণ্য শুধুমাত্র ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তার পরেই ব্যবহার করা উচিত।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top