জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স রুমে মঙ্গলবার বিকেলে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ‘অবরুদ্ধ গণতন্ত্র ও বিপন্ন মানবাধিকার আজকের প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন।

খন্দকার মাহবুব বলেন, ‘পঞ্চম দফা উপজেলা নির্বাচনে প্রমাণিত হয়েছে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা বলতে কিছু নেই। তারা (নির্বাচন কমিশন) সরকারের একটি ‘আজ্ঞাবহ’ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারকের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে এর প্রমান মিলেছে।’

তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করার ষড়যন্ত্র করছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘পাঁচ বছরের আগে ক্ষমতা ছাড়তে না চাইলে আপনাদেরকে করুণভাবে বিদায় নিতে হবে।’

তিনি দাবি করেন, বর্তমানে দেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের অস্তিত্ব নেই। আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্র ও মানবাধিকারকে হত্যা করেছে। উপজেলা নির্বাচনে সরকারে থাকা দলের সমর্থিত প্রার্থীরা ভোটকেন্দ্র দখল করে ও জালভোট দিয়ে ফলাফল ছিনিয়ে নিয়েছে।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো. রমীজ উদ্দিন রুমীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল হোসেন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিমকী ইমাম।