ডালে আছে অনেকটা ফাইবার বা আঁশ যা হৃদরোগ হবার আশঙ্কা কমিয়ে রাখে। শুধু তাই নয় এতে আছে উচ্চ মাত্রায় ম্যাগনেসিয়াম এবং ফলেট, যা হৃদয়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
দরিদ্র মানুষের মাংস বলা হয় ডালকে। কারণ এর দাম মাংসের চাইতে অনেক কম হলেও এতে প্রোটিনের পরিমাণ অনেক। এ কারণে ভেজিটেরিয়ান মানুষ মাংস না খেয়েও এই প্রোটিন খেয়েই থাকতে পারেন। যারা স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে মাংস খেতে পারেন না তাদের জন্যে ডালই ভরসা।
দ্রবণীয় আঁশ থাকার কারণে কিছু ডাল রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এর সাথে সাথে কমিয়ে আনে স্ট্রোকের ঝুঁকি। ধমনীকে পরিষ্কার রাখতেও তা কার্যকরী।
অতিরিক্ত ওজন বেড়ে গেলে দেখা দেয় বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতা। এ কারণে অনেককেই ওজন কমাতে পরামর্শ দেওয়া হয়। ওজন কমাতে সহায়ক হতে পারে ডাল। এতে অনেক পুষ্টি উপাদান থাকা সত্ত্বেও সে তুলনায় ক্যালোরি অনেক কম। এক কাপ রান্না করা ডালে আছে মাত্র ২৩০ ক্যালোরির মতো। কিন্তু তারপরেও ডাল খেলে খুব সহজে ক্ষুধা মিটে যায়। তাই ওজন কমে সহজেই।
ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়মিত ডাল খাওয়া প্রয়োজন কারণ এতে রক্তে সুগারের মাত্রা থাকে স্থিতিশীল। শর্করা আটকে ফেলে ডালের ফাইবার, হজম এবং শোষণের প্রক্রিয়াকে করে ধীর। ফলে রক্তের সুগারের মাত্রা থাকে নিয়ন্ত্রণে।
হজমের কোনো সমস্যা থাকলে তার উন্নতি করতে পারে ডাল। এতে থাকা আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম এবং আইবিএস সিনড্রোম দূর করতে সহায়ক।
ডালে থাকা ফাইবার এবং জটিল শর্করা আপনার শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, এতে থাকা প্রচুর পরিমাণে আয়রন রক্তের অক্সিজেন বহনের ক্ষমতা বাড়ায়। এক কাপ কফি বা অস্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্সের চাইতে ডালভাজা বা সেদ্ধ ছোলা খেতে পারেন। হাতেনাতে ফল পাবেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।