সকল মেনু

সুখ পরিমাপের ৫টি ভীষণ অদ্ভুত উপায়

লাইফস্টাইল প্রতিবেদক, ২৫ মার্চ (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : একজন মানুষ তার জীবন নিয়ে সুখী থাকতেই পারেন। কিন্তু ঠিক কী পরিমাণে সুখ থাকলে একজন মানুষ জীবনে সুখী হতে পারবেন তা কি কেউ জানেন? একজন মানুষকে যা সুখী করে তোলে, আরেকজন মানুষ হয়তো তা গায়েই মাখেন না। আর সুখ পরিমাপ করাই বা যায় কীভাবে? সুখ তো আর চিনির বস্তা নয় যে দাঁড়িপাল্লায় কেজি অথবা মণ হিসেব করে ফেলা যাবে! অথবা তা রেশমি কাপড় নয় যে ফিতে দিয়ে গজ-ফুটের হিসেব করা যাবে। সুখ পরিমাপের জন্য দরকার একেবারেই নতুন কোনো উপায়। আর প্রযুক্তির এই যুগে সুখের এই পরিমাপও হবে প্রযুক্তির সাহায্যেই। ঠিক এভাবেই সুখ মাপার জন্য বিজ্ঞানীরা বের করে ফেলেছেন পাঁচটি উপায়। আসুন দেখি সেগুলো কেমন।

হাসিখুশি টুইট

মানুষ এখন সারাদিন সোশ্যাল মিডিয়ার সাথে যুক্ত। তাদের হাসিখুশি মেজাজের আঁচ পাওয়া যায় তাদের টুইটার অ্যাকাউন্ট দেখলে। একজন মানুষ খুশি থাকলে অবশ্যই তা নিয়ে টুইটারে লিখবে। আর তা থেকেই বোঝা যায় তারা কতো সুখী।

ফেসবুক “ফিলিং”

সোশ্যাল মিডিয়ার মাঝে সবচাইতে বেশি ব্যবহার করা হয় ফেসবুক। আর এর মাঝে যে মানুষের মেজাজের ব্যাপারে তথ্য পাওয়া যাবে তা তো বলাই বাহুল্য। ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার পাশাপাশি নিজের অনুভুতিও প্রকাশ করা যায় “ফিলিং” নামের একটি অপশন ব্যবহার করে। এখানে “ওয়ান্ডারফুল” অথবা “গ্রেট” অনুভূতি প্রকাশের মাধ্যমে বোঝা যায় মানুষটি আসলে হাশিখুশি বোধ করছে কি না।

ইনস্টাগ্রাম হাসি

ইনস্টাগ্রামে মানুষ নিজের ব্যক্তিগত ছবি এবং পারিপার্শ্বিকের ছবি তুলে প্রকাশ করে থাকে। মানুষ হাসিখুশি থাকলে স্বভাবতই আর ছবি তুলে অন্যদের কাছে তা প্রকাশ করতে চাইবে। এভাবেই ইনস্টাগ্রামে হাসিমুখের ছবি তুলে তা প্রকাশ করার মধ্য দিয়ে মানুষের সুখের পরিমাণ বোঝা যায়। এদিক থেকে সুখী মানুষের সংখ্যা সবচাইতে বেশি ব্রাজিলে। জাপান আর ভ্যাটিকান সিটির মানুষ আবার এদিক দিয়ে বড়ই অসুখী বলে মনে হয়।

সুখের ইতিহাস

ইতিহাস ঘেঁটে দেখলেও সুখ পরিমাপ করা যায় বই কি। ভার্জিনিয়া ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় ৩০ টি দেশের থেকে সুখের সংজ্ঞা বিশ্লেষণ করা হয়। বিভিন্ন ডিকশনারি এবং বই থেকেও এই সংজ্ঞা বের করে দেখা হয়। দেখা যায়, আগে সুখ বলতে ধনসম্পদ এবং সৌভাগ্য বোঝানো হতো। এখন অবশ্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সুখকে একটি মানসিক অবস্থা হিসেবে দেখা হয়।

গড় জাতীয় সুখ

দেশের মানুষ কতটা সুখি, তা দিয়ে একটা দেশের গড় জাতীয় সুখ বের করে ফেলা যায়। এদিক দিয়ে আমাদের কাছের দেশ ভুটানের সরকার খুব সতর্ক। তারা ১৯৭১ সাল থেকে দেশের নাগরিকদের সুখের ব্যাপারে লক্ষ্য রেখে আসছে। তারা নাগরিকদের মনস্তাত্বিক স্বাস্থ্য, শারীরিক স্বাস্থ্য, শিক্ষা, জীবনযাত্রার মান, সংস্কৃতি এসব ব্যাপারে তথ্য রাখে। ২০১০ সালের তথ্য অনুযায়ী, ৪১ শতাংশ ভুটানি মানুষ সুখি, আর বাকি ৫৯ শতাংশ মানুষ এখনো পুরোপুরি সুখী হতে পারেনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top