সকল মেনু

বগুড়ার পাঁচ কাতলী কেন্দ্রে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিষ্ফোরণ বাড়ি ভাংচুর

মো:শামছুল আলম লিটন ব্যুরো চীফ বগুড়া অফিস : সকাল থেকে উৎসাহ উদ্দীপনা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশের মধ্যদিয়ে ভোট গ্রহন সমাপ্ত হয়েছে। তবে পাঁচ কাতলী কেন্দ্র দখলের চেষ্টার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও বিএনপির বিদ্রোহীর প্রার্থীর সমর্থকদের সাথে আওয়ামীলীগ প্রার্থীর সমর্থকদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় কেন্দ্রের বাইরে ৪/৫টি ককটেল বিষ্ফোরণের ঘটানো হয়। এ ঘটনার জের ধরে বিএনপি সমর্থক আব্দুল জলিল ও তার ভাই আব্দুস সামাদ এর বাড়ি ভাংচুর করা হয়। এতে রোকেয়া বেগম (৫০) ও মোহাম্মাদ আলী (৫৫) নামের ২ জন আহত হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পেীছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। রবিবার দুপুর পৌনে ১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সহিংসতার কারণে এই কেন্দ্রে প্রায় ১ ঘন্টা ভোট গ্রহন স্থগিত থাকে। ঐ ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইটিং অফিসার দেলোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কেন্দ্রের বাইরে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। সামন্য সময়ের জন্য ভোট গ্রহন বন্ধ থাকলে পরবর্তীতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। বিশৃঙ্খলার কারণে দুপুরের দিকে কেন্দ্রে কোন ভোটার ছিল না।
গাবতলী উপজেলার বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, ভোট গ্রহন শুরু হওয়ার আগেই কেন্দ্রে ভোটাররা উপস্থিত হয়ে ভোট দেওয়ার জন্য লম্বা লাইনে দাড়িয়ে আছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে পুরুষ ভোটাররা কমে যায়। এ সময় মহিলা ভোটারদের ভিড় বাড়তে থাকে। উপজেলার প্রতিটি কেন্দ্রে প্রায় একই অবস্থা। দুপুরের পর থেকে আবার পুরুষ ভোটাররা আসতে শুরু করে। এভাবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এক টানা ভোট গ্রহন চলে। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে বিপুল সংখ্যক ভোটার উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়নের ৯০ টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহন করা হয়। সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহন করতে প্রশাসনের পক্ষে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। ২৮ জন ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনী কাজে দায়িত্ব পালন  করেছেন। আইন শৃংখলা রক্ষায় ২ হাজার এক শ’ ২১ জন পুলিশ, র‌্যাব ও আনছার দায়িত্ব পালন করছেন। ভোট গ্রহনের কাজে নিয়োজিত রয়েছেন ১ হাজার ৮৩ জন কর্মকর্তা।
গাবতলীতে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।
বগুড়ার পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক জানান, ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তায় কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ন কেন্দ্রগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পুলিশ, আনছার, বিজিবি সদস্য ছাড়াও ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালনকরছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top