সকল মেনু

অবশেষে উপকূল থেকে ২ মৃতদেহ উদ্ধার

হাতিয়া (নোয়াখালী), ১৭ মার্চ (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলে অবশেষে দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করলো পুলিশ। সোমবার দুপুরে চরকিং ইউনিয়নের ভৌরব বাজার এলাকার কিল্লার বাজারের পশ্চিম পার্শ্বে নদী থেকে এ দুটো মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

এর আগে গতকাল রোববার হাতিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলে মেঘনা নদীতে ২০টি মৃতদেহ ভাসছে এমন খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। কিন্তু পুলিশ জানায় তারা কোনো মৃতদেহের সন্ধান পাননি। যদিও এলাকাবাসী এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা ফুলে ফেঁপে ওঠা অর্ধগলিত মৃতদেহগুলো দেখার পরই পুলিশে খবর দেয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের ভৌরব বাজার এলাকার কিল্লার বাজার সংলগ্ন উপকূলে দুটি মৃতদেহ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে হাতিয়া থানা পুলিশ সেগুলো উদ্ধার করে। তবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি।

এছাড়া দুপুরে সুখচরের বৌ বাজার এলাকায় একটি মৃতদেহ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই লাশটি খুঁজে পায়নি। তবে চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানান ঘটনাস্থলে থাকা উপপরিদর্শক (এসআই) মনির হোসেন। উদ্ধারকৃত মৃতদেহ দুটিতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানান তিনি।

এদিকে হাতিয়া থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মো. ফজলে রাব্বি প্রথমে তিনটি মৃতদেহ পাওয়ার কথা বললেও পরে জানান, দুটি উদ্ধার করা গেছে বাকি একটি ভেসে দূরে চলে যাওয়ায় সেটি আর উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

ওসি বলেন, ‘ভৌরব বাজার এলাকায় ২টি  এবং সুখচরের বৌ বাজার এলাকায় ১টি লাশ দেখে এলাকাবাসী পুলিশেখবর দেয়। দুপুরে হাতিয়া থানা পুলিশ ২টি মৃতদেহ উদ্বার করে। বাকি ১টি এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। ২টি মৃত দেহে আঘাতের দাগ আছে। একজনের নাভীতে জখমের চিহ্ন রয়েছে। অন্য জনের মাথায় জখম।’

ওসি আরো জানান, লাশগুলো ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। ধারণা করা হচ্ছে গত ৫/৬ দিন আগে এই লোকগুলোর মৃত্যু হয়েছে। মৃতদেহ দুটি গলে যাওয়ায় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। ময়না তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।

হাতিয়া কোস্ট গার্ডের স্টেশন কমান্ডার হামিদুর রহমান বলেন, হাতিয়ার মেঘনায় ৩টি মৃতদেহ ভেসে যাওয়ার খবর শুনে তারা হাতিয়া থানায় খবর দিয়েছেন। কোথা থেকে কীভাবে এ লাশগুলো এলো এ ব্যপারে কিছু বলতে পারেননি তিনি। তবে তিনি বলেছেন তারা এ ব্যাপারে দ্রুত খোঁজ খবর  নিবেন।

উল্লেখ্য, গত দুইদিন পর্যন্ত হাতিয়া উপজেলার সুখচর ইউনিয়নের পশ্চিম ও উত্তর পাশের মেঘনা নদীতে স্থানীয় জেলে ও অন্যান্য প্রত্যক্ষদর্শীরা অসংখ্য মরদেহ ভেসে যেতে দেখেছেন। কিছু লাশ জোয়রের সময় নদীর কূলে আটকে যাওয়ায় সেগুলোকে কুকুরে ও কাকে খাচ্ছে।

তবে রোববার বিকেল পর্যন্ত সুখচর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য মরদেহ এলাকাবাসী দেখতে পেলেও হাতিয়া উপজেলা প্রশাসন তা অস্বীকার করে। সোমবার মিডিয়াতে ছবিসহ খরব প্রকাশের পর হাতিয়া উপজেলা প্রশাসনের টনক নড়ে। তাই সকাল থেকে শুরু হয় উপকূলীয় মেঘনা নদীতে ভাসমান মরদেহগুলো সন্ধান। শেষ পর্যন্ত সোমবার দুপুরে সুখচর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ২টি মরদেহ উদ্ধার করে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top