আমাদের সমাজে প্রায় অনেক পরিবারেই এই সমস্যাটি লক্ষ্য করা যায়। দুই বোনের মধ্যে ছোটখাটো নানান বিষয় নিয়ে ঈর্ষা করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায় অনেকের মাঝেই। এমনকি বিয়ের পর দুজনের স্বামীর যোগ্যতা, আর্থিক অবস্থা নিয়েও তুলনা করা শুরু করে কেউ কেউ। আর এটাও দুই বোনের হিংসার একটি কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আসুন জেনে নেয়া যাক, কী করবেন এমন পরিস্থিতিতে সে সম্পর্কে।
দুই বোনের মিষ্টি সম্পর্কের মধ্যে যখন ঈর্ষা বিষয়টি ঢুকে যায় তখন আপনি আপনার হিংসুটে বোনটির সাথে দূরত্ব না বাড়িয়ে বন্ধুত্ব বাড়িয়ে তোলার চেষ্টা করুন। খুঁটিনাটি সব বিষয় নিয়ে বোনের সাথে হাসি ঠাট্টায় মেতে উঠুন। বোনের সাথে কোনো বিষয়ে মনোমালিন্য হলেও সেটা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করুন। দুজনের বন্ধুত্ব দৃঢ় হলে ঈর্ষার প্রবণতাও কমে যাবে।
আপনার যে বোনটি আপনার সাথে ঈর্ষা করছে তার সাথে একটু বেশিই সময় কাটান। দুজনে মিলে মার্কেটে কেনাকাটা করতে যান মাঝে মাঝেই। আপনার জন্য যেটা কিনেছেন, সেটা ভালোবেসে আপনার বোনের জন্যও কিনে ফেলুন সাধ্য থাকলে। এছাড়াও মাঝে মাঝে বোনের সঙ্গে পার্কে কিংবা আত্মীয়দের বাসায় বাড়িয়ে আসুন। তাহলে দুজনের মাঝের সম্পর্কটা আরো গভীর হবে এবং ঈর্ষা করার প্রবণতা কমে যাবে।
আপনার বোনের গুণ, রান্না, চেহারা, স্বামী, সন্তান সব কিছুরই সুনাম করুন। আপনার মুখের থেকে শোনা সুনাম আপনার বোনের মনের ঈর্ষা একেবারেই দূর করে দিবে। বোনের ভালো কাজের প্রশংসা করলে তার হীনমন্যতা দূর হয়ে যাবে এবং ঈর্ষা করার প্রবণতা আরো কমে যাবে।
আপনার বোনের হিংসার কারণে যদি আপনি মনে কষ্ট পেয়ে থাকেন এবং এই সমস্যা দিন দিন বাড়তেই থাকে তাহলে আপনার বোনকে বিষয়টি বুঝিয়ে বলুন। তাকে বলুন যে আপনি তার একজন বন্ধু; প্রতিযোগী নন। আপনি সব সময়ে তার ভালোটাই চান এবং তার ভালোতে আপনি খুশি হন এই বিষয়টি তাকে বুঝিয়ে বলুন। তাকে এটাও জানিয়ে দিন যে তার হিংসুক আচরণের কারণে আপনি মনে কষ্ট পাচ্ছেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।