সকল মেনু

লাল ফিতায় বাঁধা ফাইলের দিন শেষ: চালু হচ্ছে ই-ফাইলিং

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিবেদক, ১২ মার্চ (হটনিউজ২৪বিডি.কম) :  লাল ফিতায় বাঁধা সরকারি ফাইলের দিন শেষ হয়ে বাংলাদেশে চালু হচ্ছে ই-ফাইলিং ব্যবস্থা। ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এ পদ্ধতি চালু করলো। পর্যায়ক্রমে সরকারি সব অফিসেই চালু হবে ই-ফাইলিং পদ্ধতি। মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত সচিব কামাল উদ্দিন সরকারি সব অফিসে ই-ফাইলিং পদ্ধতি চালুর অনুমোদনের জন্য একটি ই-ফাইল আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের কাছে পাঠান। প্রতিমন্ত্রী ফাইলটি অনুমোদনের জন্য পাঠান ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীর কাছে। মিনিটের মধ্যেই সম্পন্ন হয় ফাইল আদান-প্রদানের কাজ, প্রয়োজন হয়নি কোনো বার্তা বাহকের।

মঙ্গলবার আগারগাঁও বিসিসি ভবনের আইসিটি বিভাগের সম্মেলন কক্ষে শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের উপস্থিতিতে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক একটি ই-ফাইল নিষ্পত্তির মাধ্যমে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

এ প্রসঙ্গে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘সরকারি অফিসে গতি, স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জনগণকে সেবা প্রদান ও কাগজের ব্যবহার কমিয়ে পরিবেশবান্ধব অফিস সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভাগের ই-ফাইলিং সিস্টেমের যাত্রা শুরু হয়েছে। ই-ফাইলিং মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালিত হবে সরকারি সকল অফিসেই।’ তিনি আরো বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য ছিল জনগণ সেবার পেছনে ছুটবে না বরং সেবাই পৌঁছে যাবে জনগণের কাছে। এ প্রত্যয়কে সামনে রেখে সরকারের বিরামহীন প্রয়াসের অংশ হিসেবে এ কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়। ইতোমধ্যে জেলা পর্যায়ের সমূহে ই-ফাইলিং কার্যক্রম বাস্তবায়ন হয়েছে।’

জুনাইদ বলেন, “সরকারি অফিসে গতি-স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জনগণকে সেবা প্রদান ও কাগজের ব্যবহার কমিয়ে পরিবেশ বান্ধব অফিস সৃষ্টির জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ই-ফাইলিং সিস্টেমের কার‌্যক্রম শুরু করলো।”

“দাপ্তরিক কাজে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য কমাতেই এ উদ্যোগ,” বলেন তিনি। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন সংস্থাগুলোতে একযোগে ই-ফাইলিংয়ের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলে প্রতিমন্ত্রী জানান। স্বল্প সময়ের মধ্যে সব মন্ত্রণালয়ে ই-ফাইলিং কার্যক্রম শুরু হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ৫০টির বেশি মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ক পাসওয়ার্ড দেয়া হয়েছে। সকল সাইট বাংলায় করা হয়েছে এবং বিশ্বের যে কোনো জায়গা থেকে এ কার্যক্রম চালানো যাবে।

প্রধানমন্ত্রীপুত্র জয় বলেন, “ই-ফাইলিং এর মাধ্যমে সরকারি জটিলতা দূর হবে।” মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান জানান, সরকারি কাজে গতি ও স্বচ্ছতা আনার পাশাপাশি জনগণকে আরো বেশি সেবা দিতেই এ উদ্যোগ। এর ফলে কাগজের ব্যবহার কমিয়ে পরিবেশবান্ধব অফিস তৈরির কার্যক্রমও বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।

সরকারি অফিসে গতি-স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জনগণকে সেবা প্রদান ও কাগজের ব্যবহার কমিয়ে পরিবেশ বান্ধব অফিস সৃষ্টির লক্ষ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ই-ফাইলিং সিস্টেম চালু হচ্ছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগে এবং এই বিভাগের অধীনের সংস্থাসমূহে একযোগে ই-ফাইলিংয়ের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top