জেলা প্রতিবেদক, শেরপুর , ১০ মার্চ : শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় কৃষকদের মাঝে পার্চিং পদ্ধতিতে পোকামাকড় দমন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ফলে কমে আসছে রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার।
এলাকার সংসদ সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীও বোরো আবাদে পার্চিং কার্যক্রম নিশ্চিত করার জন্য কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বাতকুচি গ্রামের কৃষক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোবারক হোসেন জানান, জমিতে পার্চিং করা বা ডালপালা বাঁশের কঞ্চি পুতে দেয়ার পদ্ধতিটি খুবই সহজ। এর কোন খরচ নেই। পাখি ডালে বসে মাজরা পোকার মথ, পাতা মোড়ানো পোকার মথ ও ফড়িং জাতীয় পোকা সহজেই ধরে খেতে পারে। এতে পোকা আর বংশ বিস্তার করতে পারে না।
বিগত ৩ বছর ধরে তিনি জমিতে কোন প্রকার রসায়নিক বালাই নাশক ব্যবহার করেন না বলেও জানান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ জানান, উপজেলার কৃষকরা ধান ক্ষেতের পোকা দমনে পার্চিং পদ্ধতি গ্রহণ করছে। এ বছর মাজরা পোকার উপস্থিতি কম। বোরো আবাদের লক্ষণও ভাল দেখা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই ৯২ শতাংশ জমি পার্চিং এর আওতায় এসেছে।
প্রকৃতি ও পরিবেশ অনুকুলে থাকলে বোরো আবাদের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।