ডিজার হোসেন বাদশা, পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড় সদর হাসপাতলে দুপুরের দিকে এক প্রসূতির সিজারিয়ান অপারেশন করে একটি কন্যা শিশুর জন্ম হয়। দেখতে অস্বাভাবিক শিশুটি জন্মের পরই গুজব ছড়িয়ে পড়ে বাঘের বাচ্চা জন্ম হয়েছে। মুহুর্তেই হাসপাতালে লোকজন দিয়ে ভরে যায়। উপয়ান্তর না দেখে বাচ্চাটিকে পাঠিয়ে দেয়া হয় জেলা সদরের হাফিজাবাদ ইউপির বিশমনি গ্রামে। সেখানেও জানাজানি হলে দুর দুরান্ত থেকে শিশুটিকে এক নজর দেখার জন্য লোক ভীড় করতে থাকে।চিকিৎসকরা জানান, মায়ের পেটে থাকা অবস্থায় শিশুটি জটিল রোগে আকান্ত হয়ে আকারে বেশ বড় হয়েছে। এ জন্য বয়স হওয়ার আগেই সিজার করে বের করতে হয়েছে। বয়স পূর্ণ না হওয়ায় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো এখনো স্বাভাবিক হয়নি। স্বাভাবিকের চেয়ে মুখমন্ডল বেশ বড়। জন্ম নেয়ার পর শিশুটি পৃথিবীর আলো দেখতে পায়নি। চোখ থাকলেও তা পরিপূর্ণ হয়নি। হাত-পা বাঁকানো। সমস্ত শরীরে ফাটা ফাটা দাগ।জানা গেছে, জেলা সদরের খাঁনপুকুর গ্রামের রিক্সাচালক জুয়েলের স্ত্রী তাহেরার প্রসব বেদনা উঠলে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুপুরের পর সেখানেই সিজার করে শিশুটি ভূমিষ্ট হয়। তাহেরার মা ফজিলা খাতুন জানান, আমার জামাই জুয়েল ঢাকায় রিক্সা চালায়। আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সিজার করে জন্ম দেয়া মেয়ে শিশুটা কিছুটা অস্বাভাবিক। তিনি জানান, তাহেরা এর আগেও ২টি মেয়ে সন্তান জন্ম দিয়েছিল। বড় মেয়েটি এবার ৩য় শ্রেণিতে পড়ে। ২য় মেয়ের বয়সও প্রায় ৪ বছর। এরা দুজন একেবারে সুস্থ্য।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।