সকল মেনু

দ্বিতীয় ধাপের উপজেলায় সেনা মোতায়েন, মধ্যরাত থেকে প্রচারণা বন্ধ

ঢাকা, ২৫ ফেব্রুয়ারি (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্বের নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ ধাপের ১১৬ উপজেলায় আজ মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে বন্ধ হচ্ছে প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচার প্রচারণা। ভোট গ্রহণ হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার।

নির্বাচনী উপজেলায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। আইন শৃংখলা রক্ষায় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে আজ (মঙ্গলবার) সকাল থেকে মাঠে নামছে সেনাবাহিনী। তাদের সঙ্গে রয়েছে পর্যাপ্ত সংখ্যক র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্য। এ সব উপজেলার জন্য সব মালামাল পাঠানোও শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসির কর্মকর্তারা।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) দ্বিতীয় ধাপে ১১৭ উপজেলার তফসিল ঘোষণা করলেও ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোট হবে ১১৬ উপজেলায়। কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার নির্বাচন ১ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে মঙ্গলবার মধ্যরাতেই (রাত ১২টা) মিছিল-মিটিংসহ সব ধরনের প্রচার প্রচারণা বন্ধ হচ্ছে। পাশাপাশি বন্ধ হচ্ছে সব ধরনের যান চলাচল। এ অবস্থায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কেন্দ্রীয় মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করলেও তা চলছে ঢিলেঢালাভাবে।

ভোটগ্রহণ উপলক্ষে নির্বাচনের দিন সংশ্লিষ্ট এলাকায় সাধারণ ছুটি থাকবে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে।

নির্বাচনে মোবাইল ফোর্স হিসেবে পর্যাপ্ত সংখ্যক র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকছে। এ ছাড়া প্রতি কেন্দ্রের নিরাপত্তায় একজন পুলিশ (অস্ত্রসহ), অঙ্গীভূত আনসার একজন (অস্ত্রসহ), অঙ্গীভূত আনসার ১০ জন (নারী-৪, পুরুষ-৬ জন) এবং আনসার একজন (লাঠিসহ) ও গ্রামপুলিশ একজন করে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকবে।

পার্বত্য এলাকা, দ্বীপাঞ্চল ও হাওর এলাকায় এ সংখ্যা শুধু পুলিশের ক্ষেত্রে দু’জন হবে। ২৭ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে আইনশৃংখলা রক্ষার্থে ৪৬৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১১৬ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

১১৬টি উপজেলায় মোট ১ হাজার ৩৫২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন ৫০৫ জন। ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর সংখ্যা ৫১১ জন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর সংখ্যা ৩৩৬ জন।

এ সব এলাকায় মোট ভোটার ১ কোটি ৯৮ লাখ ৫১ হাজার ১৭৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯৯ লাখ ৩৭ হাজার ৭৪১ জন, নারী ভোটার ৯৯ লাখ ১৩ হাজার ৪৩৫ জন। ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৮ হাজার ১৩৬টি, ভোটকক্ষ ৫৪ হাজার ৪৩৭টি। প্রিজাইডিং অফিসার প্রতি ভোটকেন্দ্রে একজন করে ৮ হাজার ১৩৬ জন। সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার প্রতি ভোটকক্ষের জন্য এক জন করে মোট ৫৪ হাজার ৪৩৭ জন এবং পোলিং অফিসারের সংখ্যা ১ লাখ ৮ হাজার ৮৭৪ জন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top