সকল মেনু

মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ:আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল বাংলাদেশ

ঢাকা, ১৮ ফেব্রুয়ারি (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থায় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল বাংলাদেশ। এর ফলে একদিকে বাংলাদেশের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের ওপর যেমন আন্তর্জাতিক সংস্থার সন্দেহজনক নজরদারি থাকবে না, তেমনি বাংলাদেশের ব্যবসায়িক ব্যয়ও কমে আসবে।

গতকাল সোমবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ তথ্য জানান। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান, স্বরাষ্ট্র সচিব সি কিউ কে মুসতাক আহমদ, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সচিব ড. আসলামুল আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ সম্পর্কিত জাতিসংঘের বিভিন্ন কনভেনশন-প্রটোকল, নিরাপত্তা পরিষদের বিভিন্ন রেজ্যুলেশন বিধান এবং ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্কফোর্সের (এফএটিএফ) মানদণ্ড পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়নকারী দেশের মর্যাদা অর্জন করল বাংলাদেশ। ১৩ ফেব্রুয়ারি প্যারিসে এফএটিএফের সভায় সর্বসম্মতভাবে বাংলাদেশকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরে বলেন,’মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থায় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করায় দেশের আমদানি ব্যয় কমবে। এতদিন গ্রে তালিকায় থাকার কারণে এলসি খোলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে ১ শতাংশ পর্যন্ত এলসি কনফার্মমেশন চার্জ দিতে হতো। এখন এই চার্জ দশমিক ২৫ থেকে দশমিক ৫ শতাংশ দিতে হবে।’

তিনি বলেন, গ্রে লিস্ট থেকে ডার্ক লিস্টে হয়ে ব্ল্যাক লিস্টে যায়। ব্ল্যাক লিস্টে গেলে অর্থনৈতিক অবরোধের মুখে পড়তে হয়। আমরা এ রকম হুমকির মধ্যে ছিলাম। বাংলাদেশ গ্রে লিস্টে থাকায় ব্যবসা-বাণিজ্যে আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ হুমকির মধ্যে ছিল। এখন তা দূর হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান বলেন, ‘এ অর্জনে আমরা সফল না হলে ঝুঁকিপূর্ণ দেশে পরিণত হতাম। তখন কেউ আমাদের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে চাইত না।’

পদ্মায় অর্থায়ন :অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, দেশের জ্বালানি তেল ও সার আমদানিতে এলসি খোলার জন্য যেভাবে বৈদেশিক মুদ্রার সংস্থান করা হয়, পদ্মা সেতু নির্মাণে বিদেশি কেনাকাটায় প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রাও একইভাবে জোগান দেওয়া হবে। সরকার পদ্মা সেতুর কেনাকাটার জন্য টাকা দেবে আর বাংলাদেশ ব্যাংক সে টাকার বিনিময়ে বৈদেশিক মুদ্রা দেবে। তিনি বলেন, রিজার্ভ ভেঙে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে বলে গণমাধ্যমে যেসব খবর প্রকাশিত হচ্ছে, তা ঠিক নয়। কোনো অবস্থাতেই রিজার্ভ ভেঙে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে না।

সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক :এর আগে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয়সক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ রেলওয়ের সৈয়দপুর-চিলাহাটি সেকশন পুনর্বাসন প্রকল্পের প্যাকেজ ডবি্লউডি-১ এবং চট্টগ্রামের ষোলশহর-দোহাজারী ও ফতেয়াবাদ-নজিরহাট সেকশন পুনর্বাসনের ভেরিয়েশন প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। সমকাল

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top