সকল মেনু

বিআরটিসির বাস লিজ রক্ষণাবেক্ষণে অনিয়ম

ঢাকা, ১৫ ফেব্রুয়ারি (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই পরিচালনা করা হচ্ছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সংস্থার (বিআরটিসি) বাসগুলো। 

যাত্রীদের সুবিধার্থে রাষ্ট্রায়ত্ত পরিবহন সংস্থা বিআরটিসি শত শত বাস কিনলেও কোনো নিয়ম-নীতি মানা হচ্ছে না। মেরামত, লিজ, রক্ষণাবেক্ষণসহ প্রতিটি ডিপোতে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে। 

তবে এসব অভিযোগ বিআরটিসির কর্মকর্তারা স্বীকার না করলেও যোগাযোগমন্ত্রী প্রায়ই গণমাধ্যমের কাছে বলছেন, দুর্নীতি, অপকর্ম, হয়রানি ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কারীদের কঠিন শাস্তির আওতায় আনা হবে।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী জানান, ইজারাদাররা চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে যখন তখন বাস সংখ্যা কমিয়ে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে। ফলে বাসগুলোতে গাদাগাদি করে যেতে হচ্ছে। বিআরটিসির বাস কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে ইজারা দেওয়া বন্ধ করতে হবে। ইতোমধ্যে দেওয়া সমস্ত ইজারা বাতিলের দাবি জানান তিনি।

বিআরটিসির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৯৫৮টি বাস রয়েছে। এরমধ্যে সিএনজিচালিত ৫৩০টি, দ্বিতল ৯০টি, এসি ৮৮টি এবং আর্টিকুলেটেড বাস ৫০টি। দূরপাল্লার ১০২টি বাস ইজারায় চলছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্টাফ সার্ভিস দিচ্ছে ১৯৫টি বাস। রাজধানীর ৪টি ডিপো থেকে ঢাকায় বাস চলাচল করছে ৫৮১টি।

সূত্র জানায়, প্রায় ৭০ কোটি টাকার বিআরটিসির বিলাসবহুল দ্বিতল ভলভো গাড়ি এখন আর সাধারণ যাত্রী বহন করে না। কেনার পর থেকে অযত্ন-অবহেলা, দুর্নীতি ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে কয়েকটি ছাড়া বাকি গাড়িগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। যে কয়টি ভালো রয়েছে সেগুলো রিজার্ভে যাত্রী বহন করছে।

বিআরটিসির চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিআরটিসির বাস মেরামত ও যাত্রী পরিবহনে অনিয়মের অভিযোগ সঠিক নয়। বাস পরিচালনায় কোনো অনিয়ম হয়নি। 

এ প্রসঙ্গে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা দুর্নীতি, অপকর্ম, হয়রানি ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের মাধ্যমে বিআরটিসির সুনাম নষ্ট করবে তাদেরকে কঠিন শাস্তির আওতায় আনা হবে। দুর্নীতির প্রশ্নে কোনো রকম ছাড় দেওয়া হবে না।  

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top