সকল মেনু

আসছে কৃত্রিম মস্তিষ্ক!

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিবেদক,  ঢাকা, ১৫ ফেব্রুয়ারি (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : বিজ্ঞানের উত্তরোত্তর অবিশ্বাস্য সাফল্য আমাদের মোহিত করে তুলেছে। যান্ত্রিক সব প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে মানুষের কায়িক শ্রমকে কমিয়ে এনেছে। মহাকাশে ঘুরে আসছে মানুষ। অস্ত্রোপচার করে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে চিকিৎসা বিজ্ঞানে এনেছে আমূল পরিবর্তন। এবার এর সঙ্গে যোগ হতে যাচ্ছে আরেকটি বিষয়। যে প্রত্যঙ্গটির কারণে মানুষ নামক প্রাণীটি মানুষ-সেই মস্তিষ্ক তৈরিতে হাত দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

কৃত্রিম মস্তিষ্ক নিয়ে কাজ হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরেই। ইতোমধ্যেই এর কিছু সফল প্রয়োগও দেখা গেছে। বিজ্ঞানীরা এখন বলছেন, তারা এই কৃত্রিম মস্তিষ্ক গবেষণাকে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে গেছেন। আগামী ১০ বছরের মধ্যেই হয়ত তৈরি করা সম্ভব হবে পূর্ণাঙ্গ এবং কার্যকর কৃত্রিম মানব মস্তিষ্ক। মানুষের মস্তিষ্ক যেভাবে কাজ করে ওই কৃত্রিম মানব মস্তিষ্কের কার্যক্রমও হবে একই ধরনের। ফলে পার্কিনসন, আলঝেইমার্সসহ নানাবিধ রোগাক্রান্ত মস্তিষ্ক চিকিৎসায় ওই কৃত্রিম মস্তিষ্ক ব্যবহারে সুফল পাওয়া যেতে পারে। বুদ্ধি প্রতিবন্ধীদেরও স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা যাবে ওই কৃত্রিম মস্তিষ্ক ব্যবহার করে।

অস্ট্রিয়ার একদল বিজ্ঞানী এবার স্টেম সেল থেকে প্রথমবারের মতো তৈরি করেছেন মস্তিষ্কের ক্ষুদ্র প্রতিরূপ (সেরেব্রাল অর্গ্যানয়েড)। ২০ থেকে ৩০ দিন পর এটার সেরেব্রাল কর্টেক্স, রেটিনা, মেনাইনস, করয়েড প্লেক্সাসসহ নির্দিষ্ট কয়েকটি অঞ্চল বিকশিত হয়। এই ক্ষুদ্র মস্তিষ্ক দুই মাসে সর্বোচ্চ আকৃতিতে পৌঁছায় এবং ১০ থেকে ১২ মাস পর্যন্ত সচল থাকে।

এ সাফল্য গবেষকদের স্নায়ুবিক রোগ সংক্রান্ত গবেষণার কাজে আরও একধাপ এগিয়ে দেবে। ভিয়েনার ইনস্টিটিউট অব মলিকিউলার বায়োটেকনোলজির গবেষকেরা স্টেম সেল ব্যবহার করে মানুষের কৃত্রিম মস্তিষ্ক তৈরি করেছেন। ‘নেচার’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে এ গবেষণা বিষয়ক নিবন্ধ। গবেষকেরা জানান, তাঁরা পূর্ণ মস্তিষ্ক তৈরি করতে পারেননি। তবে মাত্র তিন থেকে চার মিলিমিটার আকারের একটি টিস্যু তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন যা নয় সপ্তাহ বয়সী কোনো ফিটাস বা ভ্রূণের মস্তিষ্কের সঙ্গে তুলনা করা যায়।

গবেষকদের দাবি, পরীক্ষাগারে তৈরি এ কৃত্রিম মস্তিষ্কের অংশগুলো ঠিকমতো সাজানো হলেও একযোগে সব কিছু ঘটেনি। তিনি এ ঘটনাটিকে বর্ণনা করেছেন এভাবে, ‘একটি গাড়ির ইঞ্জিন, চাকা সবই ঠিকঠাক আছে কিন্তু গাড়ির ইঞ্জিনটির অবস্থান হয়েছে গাড়ির ছাদের ওপর। ফলে গাড়ি চালানো সম্ভব নয়। কিন্তু এ থেকে গাড়ির ইঞ্জিন কিভাবে চালানো যাবে তা বিশ্লেষণ করা সম্ভব।’

গবেষকেরা এর আগে স্টেম সেল ব্যবহার করে কিডনির মত অঙ্গ তৈরিতে সাফল্য পেয়েছিলেন। তবে, কৃত্রিম মস্তিষ্ক তৈরির বিষয়টি সবচেয়ে জটিল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top