সকল মেনু

হিন্দুদের ক্ষতিপূরণের নির্দেশ হাইকোর্টের

ঢাকা, ৯ ফেব্রুয়ারি: পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় দুর্বৃত্তদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু সম্প্রদায়কে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে যথাযথ ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওই এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী  মোতায়েনেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ফেসবুকে উস্কানিমূলক মন্তব্য যে  পোস্ট করেছে, তাকে চিহ্নিত করার জন্য ব্যবস্থা নিতে পুলিশপ্রধানকে নির্দেশ  দেওয়া হয়েছে।

রবিবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এ বি এম আলতাফ হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ  দেন।

এরআগে পাবনায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গত ৩ নভেম্বর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে রুল জারি করে হাইকোর্ট। প্রতিবেদনগুলো আদালতের আমলে আনেন এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী ও এ এম আমিন উদ্দিন। এসময় আদালত ওই এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী  মোতায়েন করতে নির্দেশ  দেন। একই সঙ্গে  ফেসবুকে ওই মন্তব্য যে পোস্ট করেছে, তাকে চিহ্নিত করার জন্য ব্যবস্থা নিতে পুলিশপ্রধানকে নির্দেশ  দেওয়া হয়। এ ছাড়া ওই ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করতেও বলা হয়।

এই নির্দেশনা অনুসারে অনুসন্ধান ও ক্ষতিপূরণ নির্ধারণের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির ওই প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত রায়। তিনি বলেন, তিন সদস্যের পুলিশের ওই প্রতিবেদন অনুসারে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব ৪৩ লাখ ৪২ হাজার টাকা। আদালতের নির্দেশ অনুসারে এ অর্থ তিন সপ্তাহের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। প্রতিবেদন অনুসারে, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা ৩৩টি, বসতঘরের সংখ্যা ২৯টি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১০টি, ক্ষতিগ্রস্ত পারিবারিক মন্দিরের সংখ্যা ছয়টি ও বারোয়ারি মন্দিরের সংখ্যা একটি।

ফেসবুকে মহানবী হজরত মুহম্মদ  (সা.) সম্পর্কে কটূক্তির গুজব ছড়িয়ে উপজেলার বনগ্রাম বাজার এলাকায় গত ২ নভেম্বর বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ ও হিন্দু সমপ্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় হিন্দু সমপ্রদায়ের ২০-২৫টি বাড়ি এবং দুটি মন্দিরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top