ঠাকুরগাঁও অফিস ও হুমায়ুন কবীর, বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও) থেকে: ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুরগাঁওয়ের ৩ টি আসন থেকেই জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য জেলা রিটার্নিং অফিসারের নিকট দরখাস্ত জমা দিয়েছেন। জেলা রিটার্নিং অফিসারের পক্ষে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শুকুর মোহাম্মদ মিয়া জানান, এখনো প্রত্যাহারের আবেদনগুলো বিবেচনায় রয়েছে। এদিকে মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাইকালে ঠাকুরগাঁও-০১ আসন থেকে ঋন খেলাপীর দায়ে ও লাভজনক পদে থাকার কারনে যুব মহিলা লীগ সভানেত্রী তাহমিনা মোল্লার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কোন পরিপত্র দেখাতে না পারলেও তিনি বলেন, মন্ত্রীর পদটি লাভজনক নয় এবং ভাইসচেয়ারম্যান পদটি লাভজনক। তাছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংকের তালিকায় তাহমিনা মোল্লার ঋন খেলাপী হওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তাহমিনা মোল্লার অভিযোগ করে বলেন, বিগত উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে সাংসদ ও বর্তমান খাদ্য মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন অপেক্ষা বেশি ভোট পেয়ে তিনি নির্বাচিত হন। এবার যেন নির্বাচনে দাড়াতে না পারে সে জন্য তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। গত ২ ডিসেম্বর তিনি ঋন পরিশোধ করেছেন এবং নির্বাচন অফিসের সাথে যোগাযোগ করে তিনি ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি নেননি। এক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করেন তিনি। ঠাকুরগাঁও-০১ আসন থেকে জাপা প্রার্থী রেজাউর রহমান স্বপন চৌধুরী বলেন, ৩ টি আসন থেকেই জাতীয় পার্টি প্রার্থীরা কেন্দ্রীয় নির্দেশে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দরখাস্ত জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার কার্যকর হলে, ঠাকুরগাঁও-০১ আসন থেকে রমেশ
চন্দ্র সেন, ঠাকুরগাঁও-০২ আসন থেকে আলহাজ্ব দবিরুল ইসলাম বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হবেন। এর আগে মনোনয়পত্র দাখিলের শেষ দিনে ঠাকুরগাঁওয়ের ৩ টি আসনের জন্য মোট ১১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।