সকল মেনু

সাইবার যুদ্ধে হেরে গেলে রাজপথেও পরাজয় অনিবার্য: আব্দুস সালাম

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম বলেছেন, “যারা ধর্ম ও মুক্তিযুদ্ধকে রাজনৈতিক ব্যবসার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে, তাদের আমলে দেশ ও জনগণ কখনোই নিরাপদ থাকতে পারে না।” তাঁর দাবি, দেশের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ সময় ছিল বিএনপির শাসনামল।

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাইবার ফোর্স আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সাইবার যুদ্ধে জয়ের ওপর জোর

আব্দুস সালাম বলেন, “আজকের পৃথিবীতে রাজপথের চেয়ে সাইবার যুদ্ধই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অনলাইনে সবাই দেখছে—কে কোথায়, কী বলছে। সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য সাইবার যুদ্ধে জয়ী হওয়া ছাড়া বিকল্প নেই। সাইবারে হেরে গেলে রাজপথেও জিততে পারবেন না।”

তিনি অভিযোগ করেন, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা—বিশেষ করে ৫ আগস্টের পর—সাইবার মহলে বিএনপিকে ভুলভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা হয়েছে। তবে বিএনপির সাইবার কর্মীরা তা মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছেন বলেও দাবি করেন।

‘বিএনপির আমলে সবাই নিরাপদ ছিল’

ধর্ম নিয়ে রাজনীতি প্রসঙ্গে সালাম বলেন, “ধর্মকে ব্যবসার হাতিয়ার বানালে অন্য ধর্মের মানুষও নিরাপদ থাকে না। বিএনপির আমলে সবাই নিরাপদ ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে—আমরা সেটা নিশ্চিত করতে চাই।”

নির্বাচন প্রসঙ্গে বক্তব্য

বিএনপি যে কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত—এ মন্তব্য করে তিনি বলেন, প্রতিপক্ষ “বিজয়কে ভয় পেয়েই নির্বাচন এড়িয়ে চলছে।” তাঁর মতে, একটি নির্বাচিত সরকার না থাকলে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আস্থা পায় না।

তিনি আরও বলেন, “সরকার যদি নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতেও ব্যর্থ হয়, তাহলে দেশ কোন দিকে যাবে তা অনিশ্চিত। এটা দেশের জন্য মোটেও শুভ নয়।”

দলের নেতৃত্ব ও সাইবার প্রজন্ম

আব্দুস সালাম বলেন, জিয়াউর রহমানের ভূমিকা, খালেদা জিয়ার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম এবং তারেক রহমানের ভবিষ্যৎ চিন্তা বিএনপিকে শক্ত ভিত্তি দিয়েছে। বিদেশি স্বার্থ ও কিছু প্রতিবেশী শক্তি বাংলাদেশে দুর্বল সরকার দেখতে চায় বলেও তার অভিযোগ।

তিনি তরুণ প্রজন্ম ও প্রবাসীদের কাছে সত্য তথ্য পৌঁছে দেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, “সাইবার জগতই এখন সত্য প্রতিষ্ঠার মূল যুদ্ধক্ষেত্র। তরুণ ও প্রবাসীদের কাছে সত্য তুলে ধরতে হবে।”

সভায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মুন্সি বজলুল বাসিদ আনজু, এটিএম আব্দুল বারী ড্যানি, অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রনু, কলামিস্ট জোবায়ের বাবুসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top